Home » ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ পোশাক কারখানা, মার্চের বেতন পাবেন শ্রমিকরা

১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ পোশাক কারখানা, মার্চের বেতন পাবেন শ্রমিকরা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া সমালোচনার মুখে সব ধরণের পোশাক কারখানা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বিজিএমইএ।

এর আগে কারখানা চালু রাখার পক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক। পরে, এক অডিও বার্তায়, সব শ্রমিককে মার্চের বেতন পরিশোধের পাশাপাশি অনুপস্থিতির কারণে কেউ চাকরি হারাবেন না বলেও নিশ্চয়তা দেন তিনি।

যদিও, নেটিজেনদের অভিযোগ, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের এমন অবিবেচনাপ্রসূত কাণ্ডে আরো বাড়বে করোনা আতঙ্ক।

এর মধ্যেই সন্ধ্যায় রুবানা হক এক অডিও বার্তায় জানান, কার্যাদেশ থাকলে শ্রমিকদের সুরক্ষা দিয়ে চালু রাখা যাবে কারখানা।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, যে মালিকদের কাজ আছে, যারা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করতে পারবেন। তারা কারখানা চালু রাখতে পারবেন; যদি কাজ থাকে। কারও ওপর এখানে নিষেধাঞ্চা নেই। জোর করার নেই। আমাদের অবস্থান হল, যার যেভাবে সহযোগিতা লাগবে, আমরা করব। যদি কাউকে বোঝাতে হয় বা শ্রমিকদের কাউন্সেলিং করতে হয় বা আমাদের যদি কিছু করণীয় থাকে। সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ তা করবে।

সমালোচনার ঝড় গতি পায় আরো। লাখ লাখ শ্রমিকের কোনো একটি কারখানায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে কী হবে, তা নিয়েও উদ্বেগ জানান অনেকে।

একি সময়ে দফায় দফায় গণমাধ্যকর্মীদের সঙ্গে আলাপ চলতে থাকে বিজিএমইএর। নানা প্রশ্নের পর, রাত পৌনে ১০টায় রুবানা হক দেন নতুন ঘোষণা।

রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সকল কারখানা মালিক ভাই ও বোনদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এটাও আশ্বস্ত করতে চাই, শ্রমিক ভাইও বোনদেরকে। তারা তাদের মার্চের বেতন পাবেন, এটা নিয়ে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে অনুপস্থিতিরি কারণে তারা চাকরি হারাবেন না, এজন্য মানবিক বিবেচনায় কারখানা মালিকদের বিনীতভাবে অনুরোধ করেছি।

এখানেই শেষ নয়, নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতার সাফাই গাইতে রাত দেড়টায় বিজিএমইএর অফিসিয়াল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সংগঠনটি জানায়, কারখানা বন্ধ করার ক্ষমতা নেই তাদের। ২১ ও ২৬ শে মার্চের দুটি সভার সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, কারখানা খোলার অনুমতিও দেননি তারা। প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রে অঘোষিত লকডাউন চলমান থাকার পরও কারখানা চালু রাখার ঘোষণা আসে কিভাবে।

যদিও পোস্টটির শেষ লাইনে সংগঠনটি স্বীকার করে, জনগণের ক্ষোভ দেখেই নেয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত। একই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেও ওঠে নানা প্রশ্ন। নেটিজেনদের দাবি, প্রণোদনা না দিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে দিতে চাওয়ায় নাখোশ শিল্প মালিকরা। কেউ আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকার পরও শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে বাধ্য করায় শাস্তি দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকদের।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *