1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
আজ ২৬ মার্চ "মহান স্বাধীনতা দিবস"        
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

আজ ২৬ মার্চ “মহান স্বাধীনতা দিবস”

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ বাঙালির মুক্তির দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।

১৯৭১ সালের এই দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষিত হয়েছিল। ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে একাত্তরের এই দিনে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। 

দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহঙ্কারের দিন আজ।

কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে এবছর স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচি বাতিল করেছে সরকার।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

৩০ লাখ মানুষের প্রাণ এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।

ইতিহাস গড়ার ইতিহাস : বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু একাত্তরেই সীমাবদ্ধ নয়। দীর্ঘ সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের এক বছরের মধ্যেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আঘাত করে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার ওপর। শুরু হয় শোষণ-বঞ্চনার করুণ ইতিহাস। বিক্ষুব্ধ বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম স্ফুরণ ছিল ‘উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জিন্নাহর এমন ঘোষণার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে, যা বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত পরিণতি পায়। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট, ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০-এর নির্বাচনে বিজয় ছিল জাতির আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। পাকিস্তানি শাসকচক্র ওই বিজয় প্রত্যাখ্যান করলে একাত্তরের ১ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয় স্বাধীনতার অমোঘ বাণী, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মূলত সেদিনই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু বাঙালিকে স্তব্ধ করতে ২৫ মার্চ কালরাতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় মেতে উঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হলো বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

শুরু হয় হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার চূড়ান্ত প্রতিরোধ লড়াই মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাস ধরে চলা সে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ আর লুটপাটের কলঙ্কিত অধ্যায়ের বিপরীতে রচিত হয়েছিল ইতিহাসের আরেকটি মহান অধ্যায়। 

সে অধ্যায়ে ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অসম সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের বীরত্বগাথা। ১৭ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকার। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে আসে বিজয়। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির নেতৃত্বে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে আত্মসমর্পণ করে ৯১ হাজার ৫৪৯ হানাদার সেনা। 

পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাঙালি জাতি পায় লাল-সবুজের একটি জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত এবং মানচিত্র।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণীতে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করেও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে প্রতিহত করতে না পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদারেরা এ দেশের গণমানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

তিনি বলেন, সব বাধা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এবছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানাই, বলেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বাণীতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতীয় দৈনিকগুলো। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

তবে সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচ’র নির্দেশনা অনুসরণ করে জনসমাগম এড়াতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজেদের সকল কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাদার সংগঠন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.