Home » উমেশের তোপের পর ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে বেঙ্গালুরুর জয়

উমেশের তোপের পর ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে বেঙ্গালুরুর জয়

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম:  উমেশ যাদবের তোপে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, যার চমৎকার শেষ করলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ব্যাট হাতে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৪ উইকেটে হারাল তারা। আইপিএলের ১১তম আসরে এটি বেঙ্গালুরুর প্রথম জয়।

আগে ব্যাট করে ১৯.২ ওভারে ১৫৫ রানে অলআউট হয় পাঞ্জাব। ১৯.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে বেঙ্গালুরু।

বেঙ্গালুরু ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করে। লোকেশ রাহুল পাঞ্জাবকে ঝড়ো সূচনা এনে দিলেও চতুর্থ ওভারে উমেশের আঘাত। প্রথম দুই বলে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৫) ও অ্যারন ফিঞ্চকে শূন্য রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান তিনি। পরপর তিন উইকেট নিতে সফল না হলেও উমেশ তার তৃতীয় শিকার বানান ওই ওভারের শেষ বলে। যুবরাজ সিং (৪) ফেরেন মাত্র ৪ বল খেলে। করুন নায়ারকে (২৯) নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়ে এই ধাক্কা সামলান লোকেশ। আগের ম্যাচে আইপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করা এই ওপেনার টানা দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৪৭ রানে আউট হন তিনি। এরপর শুরু হয় পাঞ্জাবের আরেক দফা ব্যাটিং ধস। টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় তারা। এই ধসের মাঝে অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৩৩ রানের ইনিংস গড়েছিল প্রতিরোধ। শেষ ৩ উইকেট পাঞ্জাব হারায় ১৩ রানের ব্যবধানে।

উমেশ সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান ক্রিস ওকস, কুলবান্ত খেজরলিয়া ও ওয়াশিংটন সুন্দর।

জবাব দিতে নেমে বিপদে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরাও। অশ্বিনের ১২তম ওভারে জোড়া আঘাতে ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। অবশ্য মনদীপ সিং নিয়ে ডি ভিলিয়ার্সের ৫৯ রানের জুটি স্বস্তি ফেরায় স্বাগতিক দর্শকদের মনে। ১১ বলে ১০ রান বাকি থাকতে ডি ভিলিয়ার্স ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ৪০ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৫৭ রান করেন।

ডি ভিলিয়ার্স ফেরার ৩ বল পর মনদীপ ২২ রানে রান আউট হন। শেষ ওভারে ওয়াশিংটন দুটি বাউন্ডারি মেরে জয়ের বাকি কাজ সমাপ্ত করেন। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। অপর প্রান্তে ছিলেন ওকস। অশ্বিন পাঞ্জাবের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন উমেশ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *