Home » বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী রুম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী রুম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে হত্যার শিকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমনটাই ধারণা চিকিৎসকদের। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে রুম্পাকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, ধর্ষণের পর রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যে ইনজুরিগুলো পেয়েছি, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে মারা গেছে। তার শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে সে ব্যাপারে পরিবারের কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন নিহত রুম্পার চাচা। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে জায়গায় এ ঘটনা, তার আশপাশে বেশকিছু ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে তিনটি ভবন আছে। এগুলোর যেকোনো একটা থেকে পড়ে রুম্পা মারা গেছেন। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, মামলা তদন্তাধীন। ইনজুরিগুলো পেয়েছি, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তার শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।

কীভাবে রুম্পা সিদ্ধেশ্বরীর ওই ভবনে আসলেন তা এখনও রহস্যাবৃত। রুম্পা শান্তিবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা হবিগঞ্জের পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় এখনো নির্দিষ্ট করে কাউকে সন্দেহ করতে না পারলেও বন্ধুদের কারো মাধ্যমেই এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা রুম্পার পরিবারের।

নিহত রুম্পার চাচা বলেন, টিউশনি শেষ করে বাসায় এসে টাকা-পয়সা, মোবাইল সব রেখেই বের হয়েছে। পায়ে হিল ছিল সেটাও খুলে স্লিপার পরেই বের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *