Main Menu

বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা শেষ

শেষ হলো বাংলাদেশের শেষ চারের আশা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী শুক্রবার খেলেই শেষ হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন যে ভেঙে গেলো ভারতের কাছে হেরে। মঙ্গলবার এজবাস্টনে বিরাট কোহলির দলের কাছে ২৮ রানে হারতে হলো বাংলাদেশকে। আর তাদের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত।

লক্ষ্যটা ছিল ৩১৫ রানের। টপ অর্ডারে সাকিব আল হাসান হাল ধরলেও অন্যরা উপযুক্ত সঙ্গ দিতে পারেননি। তাতে ৪৮ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে ভারত। আর সমান খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে বাংলাদেশ।

ওপেনিংয়ে ভালো শুরুর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু পারেননি তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে আরেকবার হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই ওপেনারকে। তার আউটে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ৩১ বলে ২২ রান করেন তিনি।

ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সতর্ক শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার সাবধানী ব্যাটিং করলেও তামিম ছিলেন কিছুটা আক্রমণাত্মক। তার বিদায়ে মাত্র ৩৯ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হন এই বাঁহাতি ওপেনার, বল তার ব্যাটে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে।

শুরুটা সতর্ক হলেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য। কিন্তু ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি। বাজে শটে তার ইনিংসের ইতি ঘটে। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ৩৩ রান করে একস্ট্রা কভারে কোহলির সহজ ক্যাচ হন তিনি।   

দুই ওপেনারকে হারানোর পর হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি এই জুটি। যুজবেন্দ্র চাহালের শিকার হন মুশফিক। ২৪ রানে সুইপ করতে গিয়ে মোহাম্মদ সামির হাতে ধরা পড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে সাকিবের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৭ রানের।

মুশফিক বিদায় নিলেও সাকিবের ব্যাট আবার হেসেছে এইদিন। ৫৮ বলে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ২৮তম ওভারে পান্ডিয়ার শেষ বলে দুটি রান নিয়ে ৪৬তম ফিফটির দেখা পান।

অন্য প্রান্তে লিটন দাস বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে থাকেন। একটি ছক্কাও মারেন তিনি। কিন্তু এর এক বল পরই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পান্ডিয়ার বলে ২২ রান করে দিনেশ কার্তিকের ক্যাচ হন লিটন। ৪১ রানের জুটি ভাঙার পর ছোটখাটো ধসের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেক হোসেন নিজেকে প্রমাণের বড় সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু মাত্র ৩ রান করে জসপ্রিৎ বুমরাহর কাছে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে বিদায় নেন আশার আলো হয়ে জ্বলে থাকা সাকিব। পান্ডিয়ার বলে এক্সট্রা কভারে কার্তিককে সহজ ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৭৪ বলে তার ৬৬ রানের সেরা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারিতে।

সাকিব আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে লড়াই করছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন বুমরাহ। ৩৬ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করেন সাব্বির। পরের ওভারে মাশরাফি মুর্তজা একটি ছক্কা মারার পরই ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন। ৮ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

৩৭ বলে সাইফ হাফসেঞ্চুরি করলেও ৪৮তম ওভারে বুমরাহ পরপর রুবেল হোসেন (৯) ও মোস্তাফিজুর রহমানকে (০) ফেরান। ৪৮ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

ভারতের পক্ষে বুমরাহ ও পান্ডিয়া তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।

এর আগে তামিমের হাতে ‘দ্বিতীয় জীবন’ পাওয়া রোহিতের সেঞ্চুরিতেই ভারত ৯ উইকেটে করে ৩১৪ রান। এই আসরে এটি ছিল তার চতুর্থ সেঞ্চুরি, এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শতকের যৌথ রেকর্ডে তিনি ভাগ বসান কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে। তাদের থামাতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.