Home » এটিএম শামসুজ্জামানকে বিদেশে নিতে চিকিৎসকদের সম্মতি

এটিএম শামসুজ্জামানকে বিদেশে নিতে চিকিৎসকদের সম্মতি

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বর্তমানে তাকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এটিএম শামসুজ্জামান এখন খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না। তার খাদ্যনালী চেপে গেছে। যার ফলে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার শরীরের অবনতি ঘটেছে। তবে এই অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে কোনও সমস্যা নেই। ডাক্তারদের বরাত দিয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম শুক্রবার (১০ মে) এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খবর নিতে হাসপাতালে যান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ও সঙ্গীতশিল্পী রফিকুল আলম। তাদের সঙ্গে এটিএম শামসুজ্জামানের পরিবার ও হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. মতিউল ইসলামের মধ্যে বৈঠক হয়। তখন এটিএম শামসুজ্জামানকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো জটিলতা নেই বলে চিকিৎসকরা মত দিয়েছেন। তবে বিদেশে নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সালেহ জামান সেলিম বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভাইয়াকে বর্তমানে (এটিএম শামসুজ্জামান) ৩০-৩৫ ভাগ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তবে এমন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে চাই। তাই এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় আছি। তিনি দেশে ফেরার পর সম্মতি দিলে ভাইকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামানের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সে জায়গা থেকেই ওনাকে কয়েকবার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। ওনার উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে তার পিত্তথলির একটি নালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। তবে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ৩০ এপ্রিল ও ৬ মে দুই দফায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *