Home » সাকিবের সমালোচনা, সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপেছেন শিশির

সাকিবের সমালোচনা, সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপেছেন শিশির

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি উন্মোচিত করা হয়। এসময় বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া ১৫ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪ জন খেলোয়াড়। অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। 

জার্সি উন্মোচন শেষে সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘দুঃখজনক, আর কী বলবো? এটা দুঃখজনক, যেহেতু টিম ফটোসেশন ছিল। আমি এসেই জিজ্ঞেস করেছি। এমন কী আমি এখানে যখন ঢুকি তখন তাকে ফোন করেছিলাম। কোথায় তুমি? বললো আমি তো চলে এসেছি। ও যে এসেছে আমি জানিও না, পত্রিকায় পড়েছি। আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। পরে বলল আপনার বাসায় আসব রাত। বলেছি, এখন একটু দেখা হোক। বলল আমি তো বেরিয়ে গেছি।’

‘জিজ্ঞেস করে জানলাম, ওকে আগেই বলা হয়েছে ফটোসেশন আছে। জাতীয় দল যাচ্ছে একসাথে, থাকবে ফটোসেশনে একসাথে থাকবে। এমনিতেই তো প্র্যাকটিসে ছিল না। এটা আমরা আশা করেছিলাম কিন্তু সে তো নাই। এটাই বাস্তবতা।’

জাতীয় দলের ফটোসেশনে সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। কয়েকজন ক্রীড়া সাংবাদিকও সাকিবের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। আর তাতেই ক্ষেপেছেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে এই নিয়ে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে সাংবাদিকদের রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শিশির লিখেছেন, ‘সাংবাদিকদের নিয়ে আসলেই আমার কিছু বলার নেই। কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে! আমি মনে করি, এটা আসলে আমাদেরই দোষ যে, আমরা তাদেরকে ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দিয়ে তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর কথা বলে তোষামোদ করিনি, কিংবা তাদেরকে ভেতরের খবর বলে দিইনি।’  

‘সাকিব ছোটবেলা বিকেএসপি থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে। ক্রিকেটই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। সে অভিনয় শেখেনি এবং মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত! হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ নয়। সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না।’

‘এখন আলোচনার বিষয় হলো, সে কেন বিশ্বকাপের ফটোসেশনে ছিল না। প্রথমত সে সেখানে যেতে পারেনি, এটা তার ভুল কিন্তু সেটা ইচ্ছে করে নয়। কারণ, তাকে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটা ভুল বুঝেছে সে। এর পর সে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা দুঃখিত যে এটা প্রমাণ করার জন্য কোনো ভিডিও করে রাখিনি।’

‘দ্বিতীয়ত একটি চ্যানেলে দুজন সাংবাদিক সাকিবকে হেয় করার জন্য অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। এর মাঝে একটি হলো “সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য এসব করছে।” আমি যদি ভুল না করি, এটাই ওর সবচেয়ে কম দরকার। এটা আসলে উল্টো, হয়তো আপনারাই (সাংবাদিক) ওকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিখ্যাত হতে চাইছেন। কারণ এ ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে লাভজনক এবং আপনাদের প্রোফাইলের জন্যও! যদি তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে যেকোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করুন মাঠ ও মাঠের বাইরে সে কেমন! সামনেই বিশ্বকাপ। তাকে তার মতো থাকতে দিন। আমার মনে হয় কথা বলার জন্য আরও অনেক জিনিস আছে।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *