Home » সাগরের ৩৮ কিলোমিটার গভীরেও মিলবে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক

সাগরের ৩৮ কিলোমিটার গভীরেও মিলবে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক

বঙ্গোপসাগরের গভীরে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। ৩৮ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে এ নেটওয়ার্ক কাভারেজ যেকোনো জরুরি অবস্থায় যোগাযোগ সহজ করার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দৈনন্দিন যোগাযোগেও দারুণভাবে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

রবিবার গ্রামীণফোনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের উপকূলীয় চারটি স্থানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাওয়ার স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন। এগুলো হলো- কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলার চর কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজ। এ চারটি স্থানকে কেন্দ্র করে স্থাপিত গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির সুবিধা পাওয়া যাবে গভীর সমুদ্রে ৩৮ কিলোমিটার পরিধি অবধি। বর্তমানে সমুদ্রের ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চলে পাঁচ শতাধিক নৌযান গ্রামীণফোনের মোবাইল সেবা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নেটওয়ার্ক কাভারেজের এ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব আয়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণেও জলজীবী মানুষদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তাই, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের বিশ্বাস গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতি বছরই উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অসংখ্য প্রাণহানির কারণ হওয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়, যার পেছনে যোগাযোগহীনতাও দায়ী। গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে এখন থেকে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া সহজ হবে। ফলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমবে বলে আশা করা যায়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *