Home » পাহাড় কেটে বহুতল বাড়ি করলেন কলেজ কর্মচারী

পাহাড় কেটে বহুতল বাড়ি করলেন কলেজ কর্মচারী

বিশেষ প্রতিবেদক: পেশায় তিনি একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান। কর্মরত আছেন কক্সবাজারের একটি সুনামধন্য কলেজে। কিন্তু তার আলিশান বাড়ি এবং চলাফেরা এবং সহ সব কিছু নিয়ে এলাকার মানুষের কৌতহলের শেষ নেই। কিন্তু সব কিছুতে ছাড়িয়ে এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে প্রায় ৫০ ফুট উচু পাহাড় সাবাড় করে তিনি গড়ে তুলেছেন ৩ তলা বাড়ি। নাম তার সুমন্ত চন্দ্র রায় থাকেন শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকায়।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন মহলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,শহরের আলী জাহাল এলাকার একটি সুনামধন্য কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান হিসাবে নিয়োগ হলের বর্তমান হিসাব রক্ষকের দায়িত্বে কর্মরত সুমন্ত চন্দ্র রায় শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকা বিশাল উচু পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর আগেও উনার তেমন কোন সহায় সম্পদ ছিলনা কিন্তু হঠাৎ করে এত অর্থ বিত্ত কিভাবে কোথা থেকে এসেছে সেটা নিয়ে সবাই কৌতুহলি। এছাড়া তিনি বিশাল পাহাড় সাবাড় করে বাড়ি করেছেন ফলে উনার বাড়ির পানি এবং মাটি এখনো সরে আসে এতে নীচে বসাবাস করা মানুষ সব সময় আতংকে থাকে। শুরুর দিকে উনি যখন বেপরোয়া ভাবে পাহাড় কাটছিল তখন আমরা বাধা দিয়েও তিনি কোন পরোয়া করেনি, বরং আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হতো। আর রাতারাতি বাড়ির কাজ শেষ করে এখন বেশ কয়েকটি ভাড়া বাসা দিয়েছে। সেখান থেকে মাসে অন্তত অর্ধলাখ টাকা আয় করে। কিভাবে সরকারি পাহাড় কেটে সরকারি জমি দখল করে একজন এমপিও ভুক্ত কর্মচারী অনিয়ম দূর্নীতি করতে পারে সেটাই আমাদের প্রশ্ন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন্ত চন্দ্র রায় বলেন, আমি কোন মতে বাড়িঘর করেছি তবে পাহাড় কাটার অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তিনি।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুমিনুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার খুব কঠোর অবস্থানে আছে। খুব দ্রুত সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *