Main Menu

চট্টগ্রামে দুই নারীর সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ:

জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম: 

চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের সময় উচ্চস্বরে গান ছেড়ে দেয়া হয়, যাতে মেয়েটির চিৎকার বাইরে থেকে শোনা না যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক অলি উল্লাহ পাবেলসহ (২৪) চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভিকটিমের বাবা।

বৃহস্পতিবার হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত পাবেলের বড় ভাই হাবিবুল্লাহ রুবেল (২৮) ও ডলি (২৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। পাবেল ও রুবেল হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়ান নগর খেরুপাড়া ভোলা হাজি বাড়ির মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী হাটহাজারী উপজেলা সদরের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। হাটহাজারী বাস স্টেশনের জেঅ্যান্ডজি মার্কেটে জে আর সু কালেকশন নামে একটি জুতার দোকান রয়েছে অলি উল্লাহ পাবেল ও তার বড় ভাই হাবিবুল্লাহ রুবেলের। ওই দোকান থেকে একাধিকবার কেনাকাটার সুবাদে পাবেল ও রুবেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীটির বাবা-মা পরিচিত হয়ে উঠেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ জুন সকালে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার পথে বাস স্টেশনের ফুলকলি মিষ্টি দোকানের সামনে থেকে পাবেল ছাত্রীটিকে স্কুলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে তার রিকশায় তুলে নেয়। পরে স্কুলে না নিয়ে ছাত্রীটিকে ফুসলিয়ে পৌর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় পাবেল। ওই ভবনের চতুর্থ তলার পশ্চিম পাশের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে অজ্ঞাতনামা দুই নারীর সহযোগিতায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পাবেল। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করলে বাসায় থাকা দুই নারী উচ্চ ভলিউমে গান ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে পাবেল তার মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তার জ্ঞান ফিরলে এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমিক দিয়েট্যাক্সিতে করে ছাত্রীটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বাড়িতে পৌঁছে মেয়েটি তার মা ও বড় বোনকে বিষয়টি জানায়।

এরপর ছাত্রীটির পরিবার পাবেলের বড় ভাই রুবেলের কাছে ঘটনাটি বলে। রুবেল বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ জানিয়ে উপযুক্ত বিচার ও মীমাংসার আশ্বাস দেন। বারবার সময়ক্ষেপণ করায় গত ১৭ জুলাই ছাত্রীটির বাবা আবারও রুবেলের দোকানে যায়। এ সময় দুই ভাই দোকান থেকে পালিয়ে যায়। পরে কোনো উপায় না দেখে বৃহস্পতিবার সকালে পাবেল, রুবেল ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী অজ্ঞাতনামা দুই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রীটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, মামলার পর পাবেলের ভাই রুবেল ও সহযোগী ডলিকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামি পাবেল ও আরেক নারী সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.