কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিডিও ধারণকারীরা হলেন- অনিক, সুমন, রমজান এবং বাবু। মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ সবাই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।
প্রধান অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার মধ্যরাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম।
কুমিল্লায় দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলাকুমিল্লায় দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ জুন আনুমানিক রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের একজনকে স্থানীয়রা আটক ও মারধর করেন। পরবর্তীতে ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারন করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ভিডিও ধারন করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে চারজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়দাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিডিও ধারণকারী ও সরবরাহকারীদের কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আলাদা একটি মামলা দায়ের করা হবে। মূল অভিযুক্ত ফজর আলী আহত অবস্থায় থাকায় তাকে আইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার পর আদালতে উপস্থাপন করা হবে।