Main Menu

আসাম মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সিলেট সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সরাসরি বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। বিষয়টি ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘দ্য সেন্টিনেল আসাম’ এবং ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ -এ প্রকাশিত হয়েছে।

এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনায় পরিচালিত একটি সমন্বিত ‘অপারেশনে’ এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যাতে আসাম রাজ্য সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।

১৪ মে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সরাসরি ১৬ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে। এছাড়া কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের পুশব্যাকের শিকার হয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ। সম্প্রতি কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে অন্তত ১২৩ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ও বাংলা ভাষাভাষী ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

আসামের মাতিয়া ডিটেনশন সেন্টারে আটক রোহিঙ্গাসহ কিছু বিদেশিকে ভারতের অভ্যন্তর থেকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালিত একটি সমন্বিত অভিযান, যেখানে আসাম রাজ্য অংশ নিচ্ছে।

এই ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক বলেন, ভারতের অভিবাসন আইনে আটক ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এভাবে কাউকে জোর করে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার নীতিমালার পরিপন্থি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করা, না হলে সীমান্ত পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে আসাম মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ। তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে আসা কিছু ব্যক্তিকে আমরা সীমান্তে আটক করেছি। তাদের কাছ থেকে ভারতের বিভিন্ন পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে তারা দীর্ঘদিন ভারতেই বসবাস করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ জরুরি হলেও তা করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের শর্ত লঙ্ঘন করা যাবে না। ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের উচিত যৌথভাবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং যে কোনো পুশব্যাকের আগে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ নিশ্চিত করা।

Leave a comment






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *