Home » চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করা আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে জামিন স্থগিতের আবেদন শুনানির জন্য আগামী রবিবার (৪ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন চেম্বার জজ আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, আজ দুপুরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

পরে একইদিন ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে আবেদন জানায়। শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

এর আগে, ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনি সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পরে ওই বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ করেন। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন চিন্ময়।

চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *