Main Menu

মার্চের মাঝামাঝি সব পাঠ্যবই বিতরণ শেষ হবে: আবুল কালাম আজাদ

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, এই বছর পাঠ্যপুস্তক বিতরণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের ৩৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্য বই বিতরণের কথা ছিল বিভিন্ন পর্যায়ে। তার মধ্যে ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি ছাপানো হয়েছে। ছাপা হওয়া বই মোট বইয়ের ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে বেশিরভাগই বিতরণ সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবগুলো ছাপা এবং বিতরণ সম্ভব হবে।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ২ কোটি ৩২ লাখ ছাপা হওয়া বই বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া এক কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার বই ছাপানো সম্ভব হয়নি, অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে যে, এই বইগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ছাপা এবং বিতরণ করা হবে। আমরা আশা করছি, সব মিলিয়ে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবগুলো ছাপা এবং বিতরণ সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, ছাপা না হওয়া বইয়ের মধ্যে মূলত আছে শারীরিক শিক্ষা, গ্রন্থবিজ্ঞান এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিল এই ধরনের বই। কিন্তু আমাদেরকে এনসিটিবি জানিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৪৫ হাজার বই ছাপা হচ্ছে , সেজন্য আমরা আশা করছি যে, খুব শিগগরই এই বইগুলো ছাপা শেষ হবে।

আজাদ মজুমদার জানান, সরকারের পক্ষ থেকে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল যে, ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে সব বই বিতরণ করা হবে। সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ আমদানি করা কাগজ খালাস করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় সেই বইগুলো ছাপানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া চীনের নববর্ষ ছিল, তার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। তারপর আমরা নতুন একটা লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম— মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে এই কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে। সেই অনুযায়ী আমরা আজকে অগ্রগতি জানালাম।

বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বছর শতভাগ বই বাংলাদেশে ছাপা হচ্ছে। এই কারণে বাংলাদেশের মুদ্রণশিল্প উপকৃত হয়েছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে— সরকারের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে বইয়ের মানের ক্ষেত্রে। এছাড়া আগের সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু মুদ্রণ ব্যবসায়ী ছিল, তাদের সম্পর্কে সরকারের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, বইয়ের মুদ্রণের প্রক্রিয়া জুন-জুলাই পর্যন্ত বিলম্ব করা, যাতে করে সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ইচ্ছা করে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা ছিল, যার ফলে তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল, ভবিষ্যতে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

আজাদ মজুমদার বলেন, নতুন উপদেষ্টা সি আর আবরার জানিয়েছেন, আগামী বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ আগামীকাল থেকে শুরু হবে। প্রক্রিয়া আগামীকাল থেকে শুরু হবে, যাতে ছাত্রছাত্রীদেরকে আগামী বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা যায়।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.