1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে -গতি থামাতে ষড়যন্ত্র        
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে -গতি থামাতে ষড়যন্ত্র

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সদ্য সমাপ্ত (২০১৭-১৮) অর্থবছরে ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। বেসরকারি খাতে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ছেড়ে দেয়া, আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ নানা কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। আর এই ধারা অব্যাহত রাখতে বন্দরের বিদ্যমান বিভিন্ন ইয়ার্ডের বাইরে নতুন করে ডেলিভারি ইয়ার্ড স্থাপন করে তা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। কিন্তু একটি মহল এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বন্দরের হাইস্টার কার্গো (ক্রেন দিয়ে যারা কনটেইনার লোড-আনলোড করে) অপারেটর ও বন্দর সিবিএ’র একটি অংশ এর বিরোধিতা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, হাইস্টার অপারেটর এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রতিটি কনটেইনারের ক্ষেত্রে আমাদানিকারক ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা আদায় করে। ঘুষ ও বকশিশ হিসেবে এই টাকা দিতে হয় আমদানিকারক ও তাদের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের। বিশাল অংকের এই অর্থ হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবেই তারা বিরোধিতায় নেমেছে। তবে এক্ষেত্রে বন্দর সিবিএ’র বক্তব্য হল- একটি বিশেষ মহলের হাতে হ্যান্ডলিংয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়ার জন্যই বন্দরের স্বার্থবিরোধী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৫৫৪ টিইইউ’স (২০ ফুট লম্বা) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ২৫ লাখ ৩ হাজার ৪৭১ টিইইউ’স। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৮৩ টিইইউ’স। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ।’

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, মূলত বেসরকারি খাতে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ছেড়ে দেয়া, নতুন নতুন ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, নতুন ইয়ার্ড নির্মাণসহ নানা পদক্ষেপের কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, মূলত এই ধারা অব্যাহত রাখতে এবং প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডের ‘ব্যাকআপ ইয়ার্ড’ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হবে। তবে যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে সেখানে ‘বার্থ অপারেটরের’ পরিবর্তে ‘টার্মিনাল অপারেটর’ নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো বিশেষ মহলের হাতে বন্দর বা টার্মিনাল তুলে দেয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে- এমন অভিযোগ সত্য নয়।”

সূত্রমতে, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর ২০০৭ সালের আগেও বিশ্বের ব্যয়বহুল ও অদক্ষ বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। ঘুষ, দুর্নীতি, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট শ্রমিক সংগঠন, অদক্ষ অপারেটরের কারণে কোনোভাবেই বন্দরে গতিশীলতা আসছিল না। শ্রমিক সংগঠন এবং অদক্ষ অপারেটররা বন্দরে সময়ে-অসময়ে অযথা ধর্মঘট ডেকে বসত।’
এতে আমদানিকারকরা সময়মতো তাদের পণ্য ডেলিভারি নিতে পারত না। শিল্পের কাঁচামাল সময়মতো না পাওয়ায় কল-কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়া ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বন্দরের একেকটি জাহাজের গড় অবস্থান ছিল ১০ দিন থেকে ১২ দিন। এতে বেড়ে যেত অপারশেনাল খরচ। আমদানিকারকদের কনটেইনারপ্রতি ১৫০ ডলার থেকে ২০০ ডলার অতিরিক্ত মাশুল দিতে হতো। আমদানি পণ্যের দামের ওপর পড়ত এর নেতিবাচক প্রভাব। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর পর অনেক সময় তা খুঁজে পেতে আমদানিকারককে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হতো। বন্দরে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হতো। সেই সময়ে কনটেইনারের গড় অবস্থান ছিল ২৫-২৬ দিন। বেসরকারি খাতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ছেড়ে দেয়ার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। তবে এত কিছুর পরও যে, বন্দরের গতিশীলতা আশানুরূপ বৃদ্ধি পেয়েছে তা নয়। ঈদের লম্বা ছুটি, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা কারণে বন্দরে মাঝে-মধ্যেই কনটেইনার জট ও জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়। যে সমস্যা আগে নিত্যনৈমত্তিক ছিল তা এখন সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতেই বন্দরের বাইরে ডেলিভারি ইয়ার্ড স্থাপন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বন্দরে বর্তমানে বছরে যে পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে তার ৬০ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশই করছে সাইফ পাওয়ার টেক বিডি লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি অপারেটর।’

বিশেষ করে বন্দরের সিসিটি ও এনসিটি ইয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ এই কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। বন্দরের চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ডে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৪ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। এর মধ্যে সাইফ পাওয়ার টেক তাদের লেবার বা শ্রমিক দ্বারা ৭০ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। বাকি ৩০ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় হাইস্টার/ক্রেন তথা বন্দরের অপারেটর ও বন্দরের যন্ত্রপাতি দিয়ে। কিন্তু এই ৩০ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন সময়ক্ষেপণ হয়; তেমনি আমদানিকারকদেরকেও পড়তে হয় আর্থিক ও মানসিক ভোগান্তিতে।’

কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেসরকারি অপারেটরের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন ডেলিভারি ইয়ার্ড হলে জাহাজ থেকে নামানো সব কনটেইনার কাস্টমসের অ্যাসেসমেন্টের পর নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। সেখান থেকেই ডেলিভারি হবে। এতে করে বন্দরের অভ্যন্তরে আর কনটেইনারের জট তৈরি হবে না। ‘ডেলিভারিতে ভোগান্তিও পোহাতে হবে না। বন্দরের অভ্যন্তরে বিদ্যমান ডেলিভারি ইয়ার্ড থেকে যেভাবে বেসরকারি অপারেটর ও বন্দরের হাইস্টার/ক্রেন অপারেটররা কনটেইনার ডেলিভারি করে থাকে নতুন ডেলিভারি ইয়ার্ডেও একইভাবে কাজ করবে তারা। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগ হলে ডেলিভারি ইয়ার্ডে সে ক্ষেত্রে বন্দরের হাইস্টার বা ক্রেন অপারেটরদের আর কাজ থাকবে না। মূলত এ কারণেই তারা বিরোধিতা করছে।’

‘এ প্রসঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘লেবার কলোনী এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে ডেলিভারি বা ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ করছে। ইক্যুইপমেন্টসহ এই ইয়ার্ডের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত আপাতদৃষ্টিতে ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকদের কাছে ভালো মনে হচ্ছে। কিন্তু ভয়ও আছে। ‘বেসরকারি খাতে যারা দায়িত্ব পাবেন তারা নতুন করে আমদানিকারক তথা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করবেন কিনা- এ নিয়ে। যেভাবে বেসরকারি আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) মালিকরা এখন নানা অজুহাতে ‘আমদানিকারকদের জিম্মি করেন। তবে ডেলিভারি ইয়ার্ডের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বেসরকারি খাতে চলে গেলে বন্দরের হাইস্টার অপারেটরদের ব্যবসা বা আমদানিকারকদের জিম্মি করে ঘুষ-উৎকোচ আদায় বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণেই তারা বিরোধিতা করছে বলে আমি মনে করি।’

এদিকে টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মাসুম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

‘বর্তমান ধারায় পরিচালিত বার্থ অপারেটিং সিস্টেমের বাইরে গিয়ে বিশেষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ার জন্যই আইন মন্ত্রণালয়কে প্রভাবিত করে কঠিন ও নতুন শর্ত সংবলিত, বন্দরের স্বার্থবিরোধী ধারা সংযোজন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে চট্টগ্রাম বন্দর অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।’ – যুগান্তর

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.