1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
হাঁচি-কাশির চেয়ে কথায় বেশি ছড়ায় করোনা        
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

হাঁচি-কাশির চেয়ে কথায় বেশি ছড়ায় করোনা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

করোনা বায়ুবাহিত, হাওয়ার কণায় ভেসে ছড়াতে পারে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদন তাই বলছে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, বাতাসের কণায় ভেসে করোনা ছড়ায় কিভাবে? তার মানে কি আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি বা মুখ থেকে বেরোনো জলকণা (ড্রপলেট) ভেসে ভাইরাস ছড়ায়? গবেষকরা বলছেন, সব সময় তা হয় না। করোনা রোগীর হাঁচি-কাশি থেকেই ভাইরাস ছড়াবে তা কিন্তু নয়। হাওয়ায় ভেসে ভাইরাস কিভাবে ছড়াতে পারে এবং কিভাবে সংক্রমণ শরীরে ঢুকতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। সুস্থ থাকার নির্দেশিকাও দিয়েছেন।

প্রথমত, এত দিন বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, মানুষের নাক ও মুখ থেকে বেরোনো জলকণায় ভাইরাল স্ট্রেন মিশে থাকতে পারে। এই জলকণা যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন জলীয় বাষ্পে ভরাট হয়ে আরো বড় জলকণা তৈরি করে। একে এয়ার ড্রপলেট বলে। এই ড্রপলেটে ভেসে ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়তে পারে। ল্যানসেটের গবেষকরা বলছেন, বড় বড় জলকণা বা ড্রপলেটে ভেসে বেশিক্ষণ বাতাসে টিকে থাকা সম্ভব নয়। কারণ মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে যেকোনো ভারী জিনিস বেশিক্ষণ ভাসতে পারে না। তাই হাঁচি বা কাশির কারণে যে বড় ড্রপলেট তৈরি হয় তাতে ভেসেই ভাইরাস বহুদূরে ছড়িয়ে পড়বে—এমনটা ভাবা ভুল।

দ্বিতীয়ত, এবার তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, ভাইরাস এত দূর অবধি ভেসে যাচ্ছে কিভাবে? গবেষকরা বলছেন, বাতাসে ভাসমান যে ছোট ছোট কণাগুলো থাকে সেগুলোকে আধার বানিয়েই ভাইরাল স্ট্রেন ছড়াচ্ছে। বাতাসের ছোট ছোট কণার ব্যস পাঁচ মাইক্রোমিটারের বেশি নয়। তাই এই কণায় ভেসে অনেক দূর অবধি ভাইরাস পার্টিকলের ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। আরো সহজ করে বললে, ধরুন আপনি আক্রান্ত রোগীর থেকে ছয় ফুটেরও বেশি দূরত্বে রয়েছেন, তাহলেও ভাইরাসের কণা হাওয়ায় ভেসে আপনার নাক বা মুখ দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে। ঠিক যেমন বাতাসে ভাসমান দূষিত কণাগুলো প্রতিদিন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢোকে, এই ব্যাপারটাও তেমনই। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের কণা বাতাসে ছড়াতে পারে মানেই হলো হাওয়ার সঙ্গে তা শরীরে ঢুকে পড়তে পারে। তাই অনেক বেশি সতর্ক থাকা দরকার। ফেস-মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, ভিড়ের মধ্যে গেলে ফেস-শিল্ড বা ফেস-কভার থাকলে খুবই ভালো হয়। পারস্পরিক দূরত্ব অবশ্যই রাখতে হবে আর পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিতে হবে।

তাহলে আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি থেকে কি করোনা ছড়ায় না? ল্যানসেটের প্রতিবেদন বলছে, সেটাও ছড়ায়, তবে বেশি দূরত্বে নয়। আপনি যদি আক্রান্ত রোগীর খুব কাছাকাছি থাকেন তাহলে ভাইরাসের জলকণা বা ড্রপলেট শরীরে ঢুকে যেতে পারে। এই ড্রপলেটগুলোর ব্যস ১০০ মাইক্রোমিটারের কাছাকাছি হয়, বেশিক্ষণ বাতাসে ভাসতে পারে না, খসে মাটিতে পড়ে যায়। তার থেকে বরং কথা বলা, ছোট অ্যারোসল বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, উপসর্গহীন রোগীদের তো হাঁচি-কাশির লক্ষণ দেখা যায় না, তাহলে তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কিভাবে? তার কারণই হলো এই অ্যারোসল। উপসর্গহীন রোগীদের থেকে ৩৩ থেকে ৫৯ শতাংশ সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। রোগীর হাঁচিতে যতটা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার থেকে ঢের বেশি ছড়াতে পারে কথা বলা, চিৎকার করা, গান গাওয়া ইত্যাদি থেকে। কথা বলার সময় ছোট ছোট জলকণা অনেক বেশি বের হয়। সেগুলোকে আশ্রয় করে ভাইরাস পার্টিকল ছড়িয়ে পড়তে পারে। সূত্র : দ্য ওয়াল

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.