Main Menu

বাড়িতেই করোনা আক্রান্তরা করুন চিকিৎসা, পান দ্রুত সুস্থতা

করোনার দ্বিতীয় আক্রমণ দেশজুড়ে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রভাবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে অল্প কিছু লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে অথবা তারা অ্যাসিম্পটোমেটিক। কিন্তু দ্রুত আরোগ্যর জন্য সবার আগে যেটা করতে হবে তা হল নিজের মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করুন।

যদি আপনার শরীরে করোনা সম্পর্কিত বিশেষ কিছু লক্ষণের খোঁজ পান আপনি তাহলে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা অতি আবশ্যক। এর মাধ্যমে আপনি আপনার এবং আপনার আশেপাশে যারা সংক্রমণের সম্ভাবনায় ভুগছেন তাদের বিপদ হওয়ার আগেই বাঁচাতে পারবেন।

এই লক্ষণগুলো সনাক্ত করুন: ৯৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা, ক্রমাগত কাশি, মুখের স্বাদ হারিয়ে যাওয়া, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, মাথা ব্যথা, গলা খুসখুস করা ও সারা শরীরে ব্যথা- এগুলি হল করোনার কিছু খুবই প্রাথমিক লক্ষণ।

জ্বর, মুখের স্বাদ পাল্টে যাওয়া, ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া, ক্রমাগত কাশি এই লক্ষণগুলি বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে সেল্ফ আইসোলেশনে চলে যাওয়া উচিত। করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দিলে কিছু বিশেষ প্রকারের চিকিৎসা আবশ্যক নয়। তবে একটি অনলাইন পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেবেন।

সেল্ফ আইসোলেশনে কিভাবে থাকবেন:

করোনার লক্ষণ গুলি বুঝতে পারলে একটি ফাঁকা ঘরে চলে যান। যতক্ষণ না কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া চিকিৎসাগত কারণে কারুর সঙ্গে দেখা করা জরুরি ততক্ষণ কোনো কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোবেন না। এমনকি কোন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার পরেও এমনটা করবেন না। অন্তত ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশন পিরিয়ডে থাকা উচিত। বাড়ির সুস্থ সদস্যদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।

কোন বিষয়গুলো রাখবেন মাথায়:

আইসোলেশন এর জন্য বাড়ির এমন একটি কক্ষ বেছে নিন যেখানে ঠিকঠাক বাতাস চলাচল হয় কেউ আপনাকে খাবার ও অন্য সামগ্রী দিতে হলে তার সঙ্গে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে পারেন ততই ভালো বাড়ির অন্যদের ব্যবহার করা কোন সামগ্রী আপনি ব্যবহার করবেন না হাঁচি-কাশির সময় মুখে কাপড় চাপা দেবেন না কোনভাবে হাত লেগে গেলে হাত এবং সেই সময়ে সারা দেহ স্যানিটাইজ করে নেবেন। নিজের ঘরেও মাস্ক পরে থাকবেন।

বাথরুমের ব্যবহার: এমন অবস্থায় নিজের জন্য আলাদা একটি শৌচালয় রাখবেন। যদি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একই বাথরুম আপনি শেয়ার করেন তাহলে কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন। নিজের টাওয়েল, ব্রাশ এবং পরিধান করা পোশাক আলাদা রাখবেন। যতবার বাথরুম ব্যবহার করবেন ততবার বেরিয়ে আসার সময় ভালোভাবে জল ঢালবেন। চেষ্টা করবেন সংক্রামিত ব্যক্তি যেন সবার শেষে বাথরুম ব্যবহার করেন।

রান্নাঘরের ব্যবহার: অন্য কোনো সদস্য যখন রান্নাঘরে যাবেন না সেই সময় আপনি নিজের কাজ করুন। সংক্রমিত ব্যক্তির কক্ষে তাঁর খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। নিজেদের বাসন সংক্রমিত ব্যক্তির নিজেরাই যেন পরিষ্কার করেন। বাসনগুলো উষ্ণ জল এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া উচিত। রান্নাঘর ব্যবহারের পর তা অবশ্যই স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে দেবেন।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.