Main Menu

ঈদের পর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হতে পারে: ডা. দীপু মনি

দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আজ বৃহস্পতিবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আয়োজনে  আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আগামীকালের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ কারণে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আমাদের।’

ঈদুল ফিতরের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি… আপনারা জানেন গত বছর থেকে যেটা চেষ্টা করছি সেটি হলো আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তা।’

‘আমাদের দেশে যেভাবে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে, আমাদের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব এবং পর্যায়ক্রমে আমরা খুলব। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নতুন যে ঢেউ এসেছে তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে’, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতিতে আমাদের ছুটির যে তারিখটি সেটি পুনর্বিবেচনা করছি এবং আজকেই সম্ভবত আমাদের যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি আছে, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যেটুকু বলতে পারি, এখন যে অবস্থা, তাতে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আমরা খুলছি, ঈদের পরে আমাদের হয়তো বা এই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক হয়তো বা সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের কেউ যেন সংক্রমিত না হয় এবং সবার প্রতি অনুরোধ- আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। মাস্ক পরিধান করি এবং সবাই যেন নিরাপদ দূরত্ব রাখি। এর কোনোটাই কোনো জায়গায় হচ্ছে না। কিন্তু, আমরা সবাই যেন এটি করি। কারণ, এই সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়। সবাইকে সেই অনুরোধ করি।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি একদম নিশ্চিত থাকতে পারেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকদের, অভিভাবকদের ও কর্মচারীদের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে।’

গত ৮ মার্চ প্রথম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, আগামী ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে সেদিন প্রাক-প্রাথমিক শাখা খুলবে না বলে জানানো হয়। প্রাক-প্রাথমিক শাখা কবে খুলবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.