Main Menu

তামিমের ‘পাপ’ সাকিবের ব্যর্থতা

যথারীতি পাপে ডুবে থাকলেন তামিম ইকবাল। তাঁর নিজের বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাপারটি অন্তত সে রকমই দাঁড়ায়। মাত্র কয়েক দিন আগেই এই বাঁহাতি ওপেনারকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘টি-টোয়েন্টিতে ২০-৩০ রানে আউট হওয়াটা পাপ।’ আগের দুই ম্যাচে ৩২ ও ৩১ রানে আউট হওয়া ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক (৩২) জেমকন খুলনার বিপক্ষেও থামলেন সেই ত্রিশের আশপাশেই।

নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়েই ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েই চলেছেন। তাঁর রানের গতিসীমা গত তিন ম্যাচের তামিমের অর্ধেক। খুলনার হয়ে পাঁচ ম্যাচে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৫ রানের। কাল তাঁকে ১৪ রানেই থামাল বরিশাল। অবশ্য শুধু তামিম-সাকিব নন, অন্য শীর্ষ ক্রিকেটারদেরও এই ম্যাচে অবস্থা বিশেষ সুবিধার ছিল না। তাঁদের অনুজ্জ্বল দিনে উজ্জ্বলতম নাম বরং তরুণ জাকির হাসান।

আগের দুই ম্যাচে সাকিবকে ওপেন করতে পাঠিয়েও কাজের কাজ না হওয়ায় এবার তাতে বদল আনল খুলনা শিবির। অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলামের সঙ্গে নামাল জাকিরকে। এবারও জমল না ওপেনিং জুটি, তবে জাকির জমে গেলেন। এই বাঁহাতির ৪২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে সাজানো ৬৩ রানের ইনিংসে ভর দিয়েই বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পেল খুলনাও। তাদের ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তাড়ায় ৫৭ রানের দারুণ সূচনার পরও তামিমের পাপ এবং আফিফের ভুলের যোগফলে যে ধস, সেটি শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে ব্যর্থ বরিশাল হারল ৪৮ রানে। পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ হারে তারা আসরে আরো পিছিয়েই পড়ল। তবে সমানসংখ্যক ম্যাচে তৃতীয় জয়ে চার ম্যাচের চারটিই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ঠিক পেছনে এসে দাঁড়াল খুলনা।

নতুন ওপেনিং জুটি দ্রুতই ভাঙলেও খুলনার টপ অর্ডার এদিন আগের মতো আর ভাঙা হাট হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ৯০ রান যোগ করেন জাকির। শুরুতে বেশ মারমুখী হলেও পরে গুটিয়ে যান ইমরুল। তবে জাকির সচল রাখেন রানের চাকা। এই দুই বাঁহাতির জুটি ভাঙেন বরিশালের সফলতম বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি (৩/৩৩)। তামিমের ভাষায় ‘পাপ’ করে ৩৭ রানে মিড অফে ক্যাচ দেন ইমরুল। এসেই দারুণ দুটি বাউন্ডারি হাঁকানো সাকিব বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে লংঅন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন সাকিব। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহও নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টায় ১৪ বলে চার বাউন্ডারিতে করে যান ২৪ রান।

রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমনকে (১৯) নিয়ে তামিম ৫৭ রানের সূচনা এনে দেওয়ার পর দুজনেই একই ওভারে শিকার শুভাগত হোমের। এই অফস্পিনারকে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন পারভেজ। ওই ওভারের শেষ বলে শুভাগতকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন তামিম (২১ বলে ৩২)। পরের ওভারে আফিফের বাজে রান আউটে বিনা উইকেটে ৫৭ থেকে ৩ উইকেটে ৬০ হয়ে যায় বরিশাল। এরপর তৌহিদ হৃদয় (৩৩) ছাড়া আর কারো ব্যাটেই তেমন কোনো প্রতিরোধ দেখা যায়নি। ছোট্ট দুটি তথ্যেই বরিশালের সেই ব্যর্থতা ফুটিয়ে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। মাত্র ২ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা, শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যান মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেছেন মোটে ২ রান!

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.