1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা আসতে শুরু করেছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
       
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা আসতে শুরু করেছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। সেই ধাক্কাটা আমাদের দেশেও আসতে শুরু করেছে। আমরা এখন থেকে সচেতন। হয়তো গতবার হঠাৎ করে আসার কারণে অনেক কাজ করতে পারিনি। কিন্তু এবার আমরা বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি।’ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় যেহেতু পুনরায় করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। সবাইকে আমার আহ্বান, প্রত্যেকে অন্ততঃপক্ষে মাস্ক পরে খাকবেন। ভাইরাসটা যেন কারও শরীরে স্থান না পায়, এ জন্য গরম পানি খাওয়া, গরম পানির গার্গেল করা এবং সব সময় হাত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার। ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবাই যেন ভালোভাবে মেনে চলেন। যেখানে বেশি লোকজনের সমাগম সেখানে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকবেন। সবার প্রতি এই অনুরোধ জানাচ্ছি।’

করোনাভাইরাসের হাত থেকে দেশ ও দেশবাসীর মুক্ত হওয়ার প্রত্যাশা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, এটা এখনও গবেষণা পর্যায়ে আছে। আমরা এটার আগাম বুকিং দিয়েছি। যাতে চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনতে পারি। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থাকার পরও দেশের অর্থনীতি যাতে গতিশীল থাকে, এর জন্য যথাযর্থ ব্যবস্থা নিয়েছি। নিয়ে যাচ্ছি। আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে দেশের মানুষের কষ্টটা লাঘব হয়। তারপরও এটা ঠিক যে, করোনার জন্য কিছু কষ্ট মানুষের আছে।’

বিরোধী দলীয় নেতার স্কুল খোলার প্রস্তাবের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমেরিকা কিন্তু একটি পর্যায়ে স্কুল খুলে দিয়েছিল। তারপর তারা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ইউরোপেও খুলে তা বন্ধ করা হয়। কারণ স্কুল খোলার পর সেখানে করোনা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। আমরা স্কুল খোলার একটি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যখন করোনার প্রকোপ কমে গেলো, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তারপর দেখলাম ইউরোপে আবার দেখা দিলো। এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি, এখনও চিকিৎসাই বের হয়নি। সেখানে আমরা ছেলেমেয়ে, শিক্ষক, গার্ডিয়ানদের জন্য ঝুঁকিটা কেন নেবো? এটা ঠিক স্কুলে না যেতে পেরে বাচ্চাদেরও কষ্ট হচ্ছে। আজকাল তো সবাই সুখী পরিবার বানাতে গিয়ে একটা বাচ্চা, দুটো বাচ্চা নিয়ে ঘরে এককভাবে থাকেন। আগে তো একান্নবর্তী পরিবার ছিল, সবাই একসঙ্গে চলতো। এখন তো সেই সুযোগটা নেই। যে জন্য বাচ্চাদের খুবই কষ্ট, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তারপরও তাদের তো মৃত্যুর ঝুঁকিতে আমরা ঠেলে দিতে পারি না। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’

অটোপ্রমোশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে তো আগে সেমিস্টার সিস্টেম ছিল না। আমরা সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। সেটাতে সারাবছর শিক্ষার্থীরা যে পরীক্ষা দিয়েছে তার ভিত্তিতে একটা ফল আসবে। এটা তো ইংল্যান্ডও দিয়েছে। এটা পৃথিবীর অনেক দেশ দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়, তা নয়। প্রমোশনের পরও তারা স্কুলে যাবে, পরীক্ষা দেবে। যারা টিকে থাকবে, থাকবে। সেই সুযোগটা তাদের আছে। কাজেই অটোপ্রমোশনে খুব একটা ক্ষতি হয়ে গেলো, এমনটি নয়। একদিন বসে লিখে পাস করে সেই পাসই পাস, আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে যে রেজাল্ট; তা রেজাল্ট নয়, এটা তো হতে পারে না। বরং সেইভাবে যদি সারা বছরের রেজাল্ট একসঙ্গে করে প্রমোশন দিয়ে দেওয়া যায়, আমি তো মনে করি, সেটাতে তাদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়।’

বাকশাল গঠনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা সম্পৃক্ত—আমাদের প্রতিরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সর্ব কাজে যারা সম্পৃক্ত, সবাইকে নিয়ে এবং সব দলকে নিয়ে তিনি ঐক্য সৃষ্টি করেছিলেন, জাতীয় ঐক্য। তাঁর লক্ষ্য ছিল উৎপাদন বৃদ্ধি করা, দেশকে সমৃদ্ধশালী করা এবং দ্রুততার সঙ্গে দেশকে উন্নত করা। যে কারণে তিনি ক্ষমতাকে একেবারে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, যেখান থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নটা শুরু হবে। এ জন্য যে পরিবর্তনটা তিনি এনেছিলেন, সেটাকে ভালোভাবে করার সুযোগ পাননি। তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তারপর থেকে একটা অপবাদ দেওয়া হলো যে, তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন, সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে আরও বলেন, ‘যে মানুষটি তাঁর জীবনের সবটুকু বিসর্জন দিয়েছেন একটি জাতির জন্য। যে মানুষটি তাঁর জীবনের কোনও আরাম-আয়েশের দিকে তাকাননি। বারবার নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন একটি জনগোষ্ঠীর জন্য; তাদের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় দেওয়ার জন্য, একটি রাষ্ট্র দেয়ার জন্য। তিনি কী কারণে ক্ষমতার লোভ করবেন? ক্ষমতার লোভ থাকলে তো তিনি অনেকবারই ক্ষমতায় যেতে পারতেন। যখনই যে আসছে তাঁকে তো মন্ত্রী বানাবেন, ক্ষমতা দেবেন; এ রকম কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি তো তা চাননি। তিনি একটি জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্পিকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবর্তন আনার জন্য এই সংসদে যে ভাষণটি দিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, আমাদের এই সংবিধান সংশোধনে; সেই ভাষণটি আজকে আমরা শুনতে চাই। সমগ্র জাতিরও শোনা দরকার যে, তিনি কেন করেছিলেন? কিসের জন্য করতে চেয়েছিলেন। করার উদ্দেশ্যটা কী ছিল? সেটা শোনানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরে সংসদে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণের অডিও বাজানো হয়।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.