1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন (পিডিবি)
       
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন (পিডিবি)

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

কুমারগাঁও উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় ঘটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। বুধবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

এ রিপোর্ট লেখা (রাত সাড়ে ১০টা) পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিশন ১, ২ ও ৪-এর আওতাধীন বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ সিলেটের বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা আশা ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড (পিজিসিবি) ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে দমকল বাহিনীর ৭টি ইউনিট একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও দু’টি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার, কন্ট্রোল প্যানেল পুড়ে গিয়ে পুরো সিলেট নগরীসহ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগুনে ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫/৪১ এমবিএ দু’টি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ, ছাতক, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সিলেট মহানগরী ও শহরতলি ছাড়া বাকি সব এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। এ রিপোর্ট লেখা (রাত সাড়ে ১০টা) পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিশন ১, ২ ও ৪-এর আওতাধীন বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

এলাকাগুলো হচ্ছে- নগরীর আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, মিরাবাজার, উপশহর, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, সুবহানীঘাট, কাজিটুলা, বালুচর, টিলাগড়, জালালাবাদ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সুবিদবাজার, আখালিয়া ও মদিনা মার্কেটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ সিলেটের ক্ষতিগ্রস্ত সকল স্থানে বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে

এ বিষয়ে পিডিবি’র ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরেফিন বুধবার রাত ১০টার দিকে জানান, আমি কুমারগাঁওয়ে উপস্থিত আছি। এই মুহুর্তে আমার সামনে প্রায় দেড়শত কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রাত ৪-৫টা নাগাদ কাজ করবেন। পরে আবার সকাল ৭-৮টা থেকে কাজ শুরু হবে। আশা করছি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা নাগাদ সিলেটের ক্ষতিগ্রস্ত সকল স্থানে বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি :
বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ উপকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনস্থাল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পিজিসিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে দায়ী করা হয়নি এবং কাউকে শাস্তিও পেতে হয়নি।
এর আগে সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) পিজিসিবি বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।

পিজিসিবি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুম আলম বকসী জানান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ট্রান্সমিশন ২)-এর প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বি এম মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ ফয়জুল কবির ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (শ্রীমঙ্গল) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন।

নগরবাসীর দুর্ভোগ :
সিলেট নগরী বিদ্যুৎহীন হওয়ার পর (গতকাল) থেকে এরই মধ্যে পানির জন্য প্রতি বাসায় শুরু হয় হাহাকার। কোথাও কোথাও পাড়ার দোকানগুলোতে পয়সা দিয়েও মিলেনি পানি। প্রতি ওয়াক্তের আজানের সময় মসজিদগুলো পানিশূন্যতার কথা মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে পুরো নগরী। দেখা দেয় মোমবাতির সঙ্কট। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়িয়ে দেন মোমবাতির দাম। এতে বিপাকে পড়েন মানুষজন।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৫ টাকার মোমবাতি বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ টাকায়। ১০টাকার মোমবাতি বিক্রি হয় ২০-২৫ টাকা।

অপরদিকে, নগরীর প্রতিটি ঘরে পানি ও আলো স্বল্পতায় সাংসারিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। পানির অভাবে গতকাল রাতে অনেক গৃহিনী চুলায় রান্না বসাতে পারেননি। দোকান থেকে শুকনো খাবার কিনে নিয়ে এসে রাত পার করেছেন।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.