ফেনীতে প্রবল বর্ষণ ও উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নিচু এলাকার জলাবদ্ধতা কমেনি। তবে আজ বুধবার সকালে নদীর পানি প্রায় ৬৭ সেন্টিমিটার কমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
উজানের ঢলে সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠায় মঙ্গলবার রাতে ভেঙে যায় পরশুরামের জঙ্গলঘোনা, অলকা ও শালধর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর এলাকাতেও দেখা দেয় ভাঙন। নদী দুটির বাঁধ ভেঙ্গে ফেনীর নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি ৩০ হাজারের বেশি পরিবার। উজানের ঢলে ফেনী-পরশুরাম সড়ক তলিয়ে গেছে। বন্ধ পরশুরাম থেকে মুন্সিরহাট যান চলাচল।
এদিকে, ফেনীর বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মোট ১৩১টি স্কুল ও স্থাপনায় বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, বুধবার সকালে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৭০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রবেশ বন্ধ হলে বাঁধের ভাঙ্গা স্থান দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমলে আমরা সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করব এবং একইসঙ্গে বাঁধগুলো মেরামত করব।’
এদিকে, খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে মেরুংয়ের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি ওঠায় অনেক এলাকার সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান