1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
গোয়েন্দাদের কালো তালিকায় চীনা অ্যাপ, আপনার মোবাইলে নেই তো
       
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

গোয়েন্দাদের কালো তালিকায় চীনা অ্যাপ, আপনার মোবাইলে নেই তো

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০

মোবাইল অ্যাপের দুনিয়ায় চিনা অ্যাপের রমরমা সারা বিশ্ব জুড়েই। আমাদের দেশেও যে সব অ্যাপ জনপ্রিয় সেগুলির মধ্যে চিনা অ্যাপের সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। সেই সব অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য চুরি নিয়ে মাঝে মধ্যেই ভেসে আসে বিভিন্ন অভিযোগ। দেশবাসীর বিভিন্ন তথ্য ওই সব অ্যাপের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘অভিযুক্ত’ অ্যাপগুলির, ভারতের বাজারে রমরমায় কোনও খামতি নেই। উল্টে টিকটক, হেলো, ভিগো ভিডিও মতো চিনা অ্যাপ দিনে দিনে আরও জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতের বাজারে।

এ রকমই ৫২টি অ্যাপের ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল। ওই ৫২টি অ্যাপ চিনা সংস্থার তৈরি বা চিনের কোনও সংস্থার সঙ্গে সেই সব অ্যাপের কোন না কোনও সংযোগ রয়েছে।

ওই ৫২টি বহুল প্রচলিত অ্যাপ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে সতর্ক করল ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট। অবিলম্বে ওই সব অ্যাপকে দেশে নিষিদ্ধ বা জনগণকে তা না ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ার জন্য সরকার বলছে তারা।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটের সহায়তায় সাইবার সুরক্ষায় নিয়োজিত দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তদন্ত চালাচ্ছিল। সেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ নিয়ে এক উচ্চ পদস্থ আমলা বলেছেন, ‘‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলি থেকে এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের উপরমহলে।’
কোন অ্যাপে কী ধরনের বিপদ লুকিয়ে রয়েছে, বিপদের পরিমাণ কতটা গুরুতর— প্রতিটি অ্যাপের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি ওই আধিকারিকের।
৫২টি চিনা অ্যাপের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে টিকটকের নাম। ‘টিকটক’ হল ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপ। বিগত কয়েক বছরে কমবয়সীদের মধ্যে বিপুল হারে বেড়েছে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা। দুর্ঘটনা থেকে অপরাধ বিভিন্ন কারণে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে টিকটককে।
টিকটকের মতোই ভিডিও তৈরির অ্যাপ ‘ভিগো ভিডিও’। অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত এই অ্যাপও রয়েছে নিষেধের তালিকায়। সেই তালিকায় রয়েছে ভিডিও তৈরির অ্যাপ ‘লাইক’ও।
লাইভ স্ট্রিমিং ও বন্ধু পাতানোর অ্যাপ ‘বিগো লাইভ’ও রয়েছে গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায়।
হোয়াটসঅ্যাপেরই মতোই মেসেজ করার প্ল্যাটফর্ম ‘উইচ্যাট’। চিনের মানুষ এই অ্যাপেই নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলেন। হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ভারতের বাজারে নিজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে সচেষ্ট এই অ্যাপ। সেই উই চ্যাটও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
মোবাইল ব্রাউজার হিসাবে অনেকদিন ধরেই ভারতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছিল ‘ইউসি ব্রাউজার’। নিউজ-সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচার যুক্ত হয়েছে তাতে। সেই ইউসি ব্রাউজার ও নিউজও রয়েছে গোয়েন্দাদের আতসকাচের নীচে।
‘জেন্ডার’ ও ‘শেয়ারইট’-এর মতো ফাইল শেয়ারিং অ্যাপকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন গোয়েন্দারা।
ছবির উপর নকশা করা বা ছবি বিকৃত করার অ্যাপ ইদানিংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। সে রকমই ‘বিউটিপ্লাস’, ‘ফটো ওয়ান্ডার’, ‘ফটো  ল্যাব’ -এর মতো অ্যাপ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রকে।

ফেসবুকের ঢঙে চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘হেলো’। স্থানীয় ভাষা দিয়ে ভারতের বাজারে বাজিমাত করার চেষ্টায় রত এই অ্যাপও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘এমআই’-এর বিভিন্ন অ্যাপও নিয়েও চিন্তিত সাইবার গোয়েন্দারা।
গুগলের বিকল্প হিসাবে চিন তৈরি করে ‘বেইদু’ ব্রাউজার। গুগলের মতোই বিভিন্ন পরিষেবা রয়েছে বেইদুর। ট্রানস্লেট, ম্যাপের মতো পরিষেবার আড়ালে বেইদুর কর্মকাণ্ড উদ্বিগ্ন করেছে সাইবার বিশেষজ্ঞদের।
‘ভাইরাস ক্লিনার’, ‘ডিইউ ক্লিনার’, ‘ক্লিন মাস্টার’-এর মতো মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় ফাইল পরিষ্কার করার অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। সেই সাফাইয়ের আড়ালেই মোবাইল থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এই সব অ্যাপের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও গোয়েন্দদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে ‘পারফেক্ট ক্রপ’, ‘কিউ কিউ ইন্টারন্যাশনাল’, ‘ক্লাশ অব কিংস’, ‘মেল মাস্টার’, ‘সেলফি সিটি’-র মতো অ্যাপও।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ইন্ডিয়াতে জুম ভিডিও অ্যাপ সম্পর্কে এক সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছিল জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সংস্থা কম্পিউটার ইর্মাজেন্সি রেসপন্স টিম অফ ইন্ডিয়া। দেশের সরকারি ক্ষেত্রে এর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জনসাধারণকেও এটির ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
নিজেদের গলদ মেনে জুম জানিয়েছিল গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও জোরদার সিকিউরিটি প্যাচ যুক্ত করা হবে। সেই প্যাচ এসেছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এখনও ওঠেনি।
এই অ্যাপের তথ্য চুরির প্রমাণ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সাইবার গোয়েন্দারা। এই সব চিনা মোবাইল অ্যাপ থেকে গ্রাহকের অজান্তেই স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বা অন্য কোনও ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইল থেকে গোপন তথ্য-ছবি চুরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এক কর্মকর্তা।
অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার হানা নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক করেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সীমান্তে যুদ্ধের পাশাপাশি, এ দেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য চিনা মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাস চালাতে পারে চিন।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.