1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
শাবিপ্রবির সমাবর্তন বুধবার
       
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন

শাবিপ্রবির সমাবর্তন বুধবার

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০

আগস্ট ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর দীর্ঘ এক যুগ ধরে আটকে থাকা তৃতীয় সমাবর্তন দ্রুত আয়োজনের বিষয়ে কথা দিয়েছিলেন। এখন সেই সমাবর্তন সফল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

আগামী বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই কাঙ্ক্ষিত সমাবর্তন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো, আবদুল হামিদ এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

১৯৯১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার দীর্ঘ ২৮ বছরে শাবিপ্রবিতে মাত্র দুটি সমাবর্তন আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৯ এপ্রিল প্রথম সমাবর্তন এবং এর ৯ বছর পর ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক উপাচার্য অনেকবার চেষ্টা করলেও আয়োজন করতে পারেননি তৃতীয় সমাবর্তন। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পরপরই তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন এবং বাস্তবায়ন করবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০১-২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন। তৃতীয় সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ৭৫০ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে স্নাতকের ৪ হাজার ৬১৭ জন এবং স্নাতকোত্তরের ১ হাজার ১২৭ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া পিএইচডি দু’জন, এমবিবিএস ৮৭৮ জন, এমএস ও এমডি ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী।

এদিকে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য ২০ জন শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও পাঁচ জনকে স্নাতকোত্তর ফলাফলের জন্য এবং দ্বিতীয় সমাবর্তনে বাদ থাকা পাঁচ জনকেও স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদে প্রথম হওয়া ৮৯ শিক্ষার্থীদের ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।

দীর্ঘ এক যুগ পর সমাবর্তন হওয়ায় উৎসব বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে। সমাবর্তনকে সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে।

সমাবর্তনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুন মোড়কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সমাবর্তন স্থল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে রং-বেরঙের পতাকা এবং মরিচবাতি লাগানো হয়েছে, গোলচত্বরকে নতুনভাবে মেরামত করা হয়েছে এবং ফুল গাছ লাগানো হয়েছে, বিভিন্ন ভবনের সামনে এবং উপরে টানানো হয়েছে সমাবর্তনের ব্যানার-ফেস্টুন। ভবনগুলোতে নতুন করে রং করা হয়েছে। এদিকে মূল প্যান্ডেল ও স্ট্যাজের কাজ চলছে পুরোদমে।

সমাবর্তনকে কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। সোমবার থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে কস্টিউম, গিফট ও আমন্ত্রণপত্র বিতরণ এবং মঙ্গলবারও দিনব্যাপী নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে এসব জিনিস দেওয়া হবে।

সমাবর্তনের বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত সমাবর্তন। গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সমাবর্তন হচ্ছে সবচেয়ে বড় উৎসব। সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে সিনিয়র-জুনিয়রদের এক মিলনমেলার সৃষ্টি হয়। অনেক পুরনো বন্ধু, সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয়। সবমিলিয়ে এক আনন্দঘন এবং আবেগপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমার চাওয়া ক্যাম্পাসে যেন নিয়মিত সমাবর্তন হয়।’

একই বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত জাহান বলেন, ‘অনেক দিন পর শিক্ষক, ব্যাচমেট, সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হবে এই ভেবে আনন্দ লাগছে। কাঙ্ক্ষিত এই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। যারা আসতে পারবে না তাদেরকে খুব মিস করব।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি একদম শেষ পর্যায়ে। সবকিছু সুন্দরভাবেই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি কখন রাষ্ট্রপতি আসবেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চতুর্থ সমাবর্তন চলতি বছরের শেষের দিকে বিশেষ করে ডিসেম্বরে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর প্রতিবছরই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।’

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.