1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
আমেরিকা জয়ে বাংলাদেশিরা
       
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন

আমেরিকা জয়ে বাংলাদেশিরা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

ডেস্ক নিউজ :

সিটিজেন, গ্রিনকার্ডধারী, নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারী এবং ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া অবৈধসহ মোট ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭০১ জন বাংলাদেশি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সর্বশেষ ডাটা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৯০ হাজার ৪৪৯ জন গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। এসাইলাম লাভ করেছেন ৮৪৩ জন। সিটিজেনশিপ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৭ বাংলাদেশি। এ সময় ১২১ এতিম শিশুকে দত্তক নিয়েছেন সিটিজেনরা। অর্থাৎ গত ৫ বছরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭১ বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ লাভ করেছেন। এ সংখ্যা অনেক বেশি হতো, যদি ২০১৩ সালে ডিভি লটারি থেকে বাংলাদেশ ছিটকে না পড়তো।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের তথ্য বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্র সেনসাস ব্যুরোর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড. মনসুর খন্দকার এ সংবাদদাতাকে জানান, গত বছর পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩০ বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। প্রকৃত অর্থে এ সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে ২০১৭ সালে। দালালের মাধ্যমে ব্রাজিল-মেক্সিকোর দুর্গম সীমান্তে গত বছর বেশ কিছু বাংলাদেশি যুবক যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছেন। আবার অনেকেই সীমান্ত রক্ষীর কাছে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন সেন্টারে দিনাতিপাত করছেন। অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশনবিরোধী নানা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে কানাডায় গেছেন।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন মেরিল্যান্ডে অবসর জীবন-যাপনরত ড. খন্দকার মনসুর বলেন, ইমিগ্রেশনের গতি-প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও বাড়ছিল। কিন্তু পারিবারিক কোটা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন লোকজনকে ইমিগ্র্যান্ট ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ির যে মনোভাব ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তা বলবৎ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। কারণ, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ট্রাম্প তথা রিপাবলিকানদের কাছে কখনই বাংলাদেশিরা উদার আচরণ পাবেন বলে মনে হচ্ছে না।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় ২ লাখ ১৫ হাজার বাংলাদেশি এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্য থেকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩০ জন ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দেশে ফেরেননি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপরোক্ত সময়ে ২ হাজার ৭০২ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় অবৈধভাবে বসবাসের জন্য। ২ হাজার ৯২৬ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি অর্থাৎ এদের এয়ারপোর্ট অথবা সীমান্ত ফাঁড়িতেই আটকে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অপরাধে লিপ্ত থাকার জন্য ৬০২ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মেক্সিকো হয়ে দুর্গম পথে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ধরা পড়া আরও ১১৪০ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৫ বছরে আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)-এর এজেন্টরা বাসা, কর্মস্থল এবং আদালত চত্বর থেকে আরও ৭৩৭০ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে সরকারি খরচে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।

এমন অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ প্যারোলে মুক্তিলাভ করলেও তাদের দেহে বিশেষ ধরনের যন্ত্র বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য। এরা পরবর্তীতে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করলে আইস ধরেই পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশে। এমন বেশ কয়েকশ বাংলাদেশিকে গত মাসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নিজস্ব বিমানে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আটলান্টিক সিটির সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী খান বাবুল অন্যতম। তার সন্তান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী। তারা ইতিমধ্যে তাকে স্পন্সরও করেছেন। কিন্তু পুরনো ডিপোর্টেশনের খড়গ থেকে রেহাই পাননি সহজ-সরল এই প্রবাসী। অর্থাৎ ইমিগ্রেশনের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, ডিপোর্টেশনের নির্দেশ অমান্য করে বসবাস করছে, তাদের ধরতে অভিযান ক্রমান্বয়ে জোরদার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া কয়েক বাংলাদেশিকে প্যারোলে মুক্ত করা আইনজীবী মঈন চৌধুরী বলেন, প্রচলিত আইনে অন্য কোনো প্রোগ্রামে স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টের সুযোগ না থাকলে প্যারোলে মুক্তি পেলেও স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার কোনো আশা থাকে না।

 

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.