অনলাইন ডেস্ক: গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২১ জন ত্রাণপ্রার্থীসহ কমপক্ষে ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪৩৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরার।একই সময়ে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সৃষ্ট অনাহারে আরও তিন শিশুসহ আটজন মারা গেছে। এ নিয়ে ক্ষুধাজনিত কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১০৬ জনই শিশু।
গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীরাও নিরাপদ নন। ইসরায়েলের হামলায় আল জাজিরার চারজন সাংবাদিক ও দুইজন ফ্রিল্যান্সার নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড সারা বিশ্বে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে লন্ডন, বার্লিন, তিউনিস ও রামাল্লাহসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রধান শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কূটনৈতিক তৎপরতাও বেড়েছে। হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিশরে পৌঁছেছে, যেখানে গাজা শহরের দখল, প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ও একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আরও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে ও মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি ঘটিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ জন। এর বিপরীতে, ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে হামাস বন্দি করেছিল।
প্রতিনিধি