অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট স্টুয়ার্ট সামরিক ঘাঁটিতে পাঁচ সেনাকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা সদস্যের বিচার প্রক্রিয়ায় ‘সর্বোচ্চ আইনের প্রয়োগ হবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই ঘটনায় আহতদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেন। খবর সিএনএনের।স্থানীয় সময় বুধবার (৬ আগস্ট) ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ বেলা ১১টার দিকে পাঁচজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। হামলাকারী এখন হেফাজতে আছে। সেনাবাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এই নৃশংসতার অপরাধীর পূর্ণাঙ্গ বিচার হবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, পুরো দেশ ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছে। আশা করি তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা এই অধ্যায়টি পেছনে ফেলে আসতে পারব। তবে যা ঘটেছে তা ভুলব না। যে এই কাজটি করেছে, এই ভয়ঙ্কর ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এদিকে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, অপরাধী এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে জর্জিয়ার থার্ড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জন লুবাস এক সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় সাঁজোয়া ব্রিগেডের একটি প্রশিক্ষণ এলাকায় একজন কর্মরত সেনা সদস্য তার পাঁচ সহকর্মীকে গুলি করেন। হামলাকারীর নাম কর্নেলিয়াস র্যাডফোর্ড (২৮)। তিনি দ্বিতীয় ব্রিগেডের একজন লজিস্টিক সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত। উল্লেখ্য, গান ভায়োলেন্স (বন্দুক হামলা) আর্কাইভের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৬০টির বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিনিধি