২৬ জুলাই সিলেট কুশিয়ারা কনভেনশন হলে ছিলো পেপার বেইজ এক্সাম Ukvi শেষ পরিক্ষা! যা অনুষ্ঠিত হয় IDP Bangladesh-এ।
রিপোর্টিং টাইম ছিল সকাল ১১টা, আর পরীক্ষার নির্ধারিত শুরু হওয়ার সময় ছিল দুপুর ১ টা। কিন্তু বাস্তবে পরীক্ষা শুরু হয় বিকেল ৪টায়। প্রায় ৫ ঘণ্টা পরিক্ষার্থীদের বসিয়ে রাখা হয় কোনো তথ্য বা সঠিক ব্যাখ্যা না দিয়েই।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো,পরীক্ষা শুরু করা হয় Writing সেকশন দিয়ে, যেখানে সাধারণত Listening দিয়েই শুরু হয়। Listening সেকশন নেয়া হয় একেবারে শেষে, প্রায় ২ ঘণ্টা পর। এর মধ্যে হেডফোনে বারবার সমস্যা হচ্ছিল, আবার কখনো তা ঠিক করতেও দেরি হচ্ছিল,শিক্ষার্থী একসময় ভেবাচেকা খেয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয় যা পরীক্ষার মানসিক প্রস্তুতিকে ভয়ানকভাবে নষ্ট করেছে।
সারা দিনে কোনো খাবার, হালকা নাস্তা দেয়া হয়নি। যারা সকাল থেকে না খেয়ে বসে ছিল, তাদের জন্য এটা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, কোনো স্টাফই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা দেয়নি কী সমস্যা হচ্ছে বা আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
যেখানে বিকাল ৪টায় পরিক্ষা শেষ হওয়ার কথা সেখানে পরিক্ষা শেষ হয় রাত ৮.৩০ এ।
মূলত সমস্যার সূত্রপাত হয় হেডফোন নিয়ে।
পরীক্ষার শুরুতে দেখা যায়, IDP সেন্টারের নিজস্ব হেডফোনে সমস্যা আছে—অডিও ঠিকমতো শোনা যাচ্ছিল না। এতে পরীক্ষার Listening অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি। ভয়ানক বিষয় হলো, এত বড় একটি আন্তর্জাতিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পূর্ব বা বিকল্প কোনো প্রস্তুতি ছিল না।
পরবর্তীতে তারা অন্য সেন্টার থেকে হেডফোন এনে পরীক্ষা নেয়। এত বড় প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা আয়োজন করাটা খুবই দুঃখজনক এবং চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়। তাছাড়া কিভাবে এতো দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখে কোনো খাদ্য, বিশ্রামের সুযোগ বা সঠিক ব্যাখ্যা ছাড়া।
শুধু পরীক্ষার্থীরাই নয়, তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরাও চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় কাটিয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত গার্ডিয়ানরা বাইরে অপেক্ষা করেছেন, অথচ IDP কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত কেউ এসে কোনো ব্যাখ্যা বা আপডেট দেননি।
অনেকে ছেলেমেয়ের খোঁজে উদ্বিগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ কেউ দীর্ঘ সময় না খেয়ে অবস্থান করেন। অথচ এই সময়ের মধ্যে কোনো স্টাফ এসে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেনি, বা কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
একটি আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাকেন্দ্রের উচিত ছিল অন্ততপক্ষে নিয়মিত আপডেট দেওয়া, কিংবা একজন প্রতিনিধিকে বাইরে রাখা যেন তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ উল্টো—একটি দায়িত্বহীন, অমানবিক ব্যবস্থাপনা, যা শুধু হতাশাজনক নয়, অপেশাদারিত্বের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।