সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে সিলেট সরকারি কলেজসংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে।
‘প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে,
হঠাৎ করেই চারপাশের শান্ত দৃশ্যটা বদলে গেল কয়েকজন তরুণ লাঠিসোঁটা হাতে, অন্য আরেকদল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিলো। কিন্তু ঠিক তখনই ঘটল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যেদিক থেকে তাড়া করে গিয়েছিল ‘লাঠিওয়ালারা’, ঠিক তার উলটো দিক থেকে উদয় হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল দল মুহূর্তেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। সেনাবাহিনী তাড়া করল লাঠিসোঁটা-ধারীদের। সবাই পালিয়ে গেল, একজন ছাড়া। সে বোকামি করেছিল। তৎকালীন পুলিশি স্টাইলে হেলমেট মাথায় দিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সে জানত না, এই হেলমেটটাই হবে তার কাল। সেনাবাহিনীর এক সদস্য চিৎকার করে বলল, “এই যে! দাঁড়া!” সে দাঁড়াতে চাইল না।পেছন থেকে একজন তার প্যান্টের বেল্ট ধরে এমনভাবে টান দিলো, সে হেলমেটসহ মুখ থুবড়ে পড়ে গেল রাস্তায়। তারপর শুরু হলো পেটানো। একটা হেলমেট যা মাথা রক্ষার প্রতীক, হয়ে উঠলো মার খাওয়ার কারণ। প্রতিটা বাড়ি যেন তার অজ্ঞতা আর বোকামির উপর বিচার হয়ে নেমে এলো।’
সংঘর্ষের সময় টিলাগড় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযানের সময় গ্রীনহিল স্টেট কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন এবং জামান গ্রুপের কর্মী আসফিয়াকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটক দুইজনকে সেনাবাহিনী থানায় সোপর্দ করেছে। তারা আহত থাকায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।