যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে আজ সোমবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে এই সফরে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত এ ধরনের সফর ফলপ্রসূ হবে না।
১০ থেকে ১৩ জুন—৪ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার এটিই প্রথম ইউরোপ সফর। সরকারি এই সফরে ১১ জুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন অধ্যাপক ইউনূস। পরদিন ১২ জুন রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিকে প্রধান উপদেষ্টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে সাবেক কূটনীতিক রাশেদ চৌধুরী বলছেন, ‘নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এটাকে ব্রিটিশ সরকার হয়তো গুরুত্ব দেবে না। কারণ এরই মধ্যে এরা দেখতে পাচ্ছে যে, উনি বিতর্কিত হয়ে গেছেন। উনি যদি সংস্কারের প্রক্রিয়া এত লম্বা না করে শুধু নির্বাচনের ওপর বেশি ফোকাস করতেন, তাহলে তিনি কিন্তু প্রতিটি দেশে সফর করতে পারতেন।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সব সময়ই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা অবশ্যই চাইবে বাংলাদেশেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। রাশেদ চৌধুরী বলছেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বাস করে যে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এটা খুব একটা টেমপোরারি। আমি খুব একটা আশাবাদী নয় যে, তারা নিশ্চয়তা দিতে পারবে। তারা বরং চায় নির্বাচিত সরকার, যেখানে পার্লামেন্ট হবে, যেখানে ডিবেট হবে।’
১২ জুন সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজার হাত থেকে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি গৌরবের বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই কূটনীতিক।
বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এই সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।