নিউজটা মিসলিডিং হয়েছে, শেখ মুজিবসহ চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, এ সংক্রান্ত খবরটি ঠিক নয়।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত সবাই মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে যারা পরিচালনা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিউজটা মিসলিডিং হয়েছে। মুজিবনগর সরকারের বেতনভোগী কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে নয় যে, তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই আমরা করেছি। ২০১৮ এবং ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগসুবিধা একই থাকবে।’
ফারুক ই আজম আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরবের সময় আমাদের জাতির ইতিহাসে আর হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের তালিকা থেকে যতেটুকু সম্ভব অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়া হবে।’
এরআগে মঙ্গলবার রাতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
Leave a comment
এই বিভাগের আরো সংবাদ

রাঙামাটির সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি, বিজিবির ছুটি বাতিল
সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কাউকে যেন বাংলাদেশে পুশ-ইন করা না যায় এবং চোরাচালান রোধ করতেবিস্তারিত

জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকও থাকছে: ইসি
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবারবিস্তারিত