সিলেট নগরীর কে কোন হাট ইজারা পেলেন

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত নগরীর অস্থায়ী পশুর হাট ৬টির দরপত্র যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া টি মঙ্গলবার সমপন্ন হয়েছে।
নগর ভবনের কনফারেন্স হলে দুপুরে এ পক্রিয়াটি সমপন্ন হয়। এতে মোট ১৮ জন তাদের দরপত্র জমা দেন। দাতাদের মধ্যে দরপত্রের নিয়মানুসারে সর্বোচ্চ দরদাতা ৬ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের ইজারার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সর্বোচ্চ দরদাতা ১৫ লাখ টাকা মাছিমপুর কয়েদির মাঠের অস্থায়ী পশুর হাট এবং সর্বনিম্ম দর পাওয়া যায় আবদুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিরাপাড়া অস্থায়ী হাট ২৫ হাজার টাকা।
সিসিকের ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা গ্রহনের লক্ষ্যে ৫৯টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ১৮ টি দরপত্র মাত্র জমা পড়ে। তন্মধ্যে একটি দরপত্র খালি পাওয়া যায়।
যেখানে কোন কিছু লেখা ছিল না। অপর একটি দরপত্র পে অর্ডার ছাড়াই জমা দেওয়া হয়েছে। বলা চলে ১৬টি দরদাতা হাটের ইজারা নিতে ইচ্ছুক।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় সিসিকের ৩য় তলার কনফারেন্স হলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খানের উপস্থিতিতে সচিব আশিক নূর সকলের উপস্থিতিতে টেন্ডার বক্স উম্মুক্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি সকল দরদাতাদের বিস্তারিত সকলের সামতে তুলে ধরেন।
দরপত্র পর্যালোচনা করে সিসিকের সচিব আশিক নূর জানান, আবদুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিরাপাড়া সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য ৩টি দরপত্রের অস্থায়ী হাটের জন্য সর্বোচ্চ দর ২৫ হাজার টাকা দরদাতা জাকির হোসেন পারভেজ।
এ হাটের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর ওঠে ২০ হাজার টাকা। জে,এ তোফায়েল ও মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মিলে এই দরপত্র দেন।
এই বছর এই হাটটি প্রথম বারের মত ইজারা প্রদান করা হয়। জাকির হোসেন পারভেজ বলেন, আমি চাই মিরাপাড়া এলাকার সুনাম রক্ষা করে হাটটি পরিচালিত করতে। তিনি হাট পরিচালনায় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।
মেজরটিলা বাজার সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য ৮টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে ৩টি।
এক জনের দরপত্র ব্লাংক (খালি) ছিল এবং অন্যজনের দরপত্রে কোন পে-অর্ডার না থাকায় একক দরদাতা হিসেবে মো. মাহি উদ্দিন ৫০ হাজার টাকা দর জমা দেন।
গত বছরও এই হাটটি ৫০ হাজার হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়। তাই এই বছর অতিরিক্ত আয় হচ্ছেনা এই হাট থেকে। মো. মাহি উদ্দিন বলেন, আমরা স্থানীয়দের সুবিধার কথা চিন্তা করে সকলের যৌথ প্রয়াসে এই হাটটি ইজারা নিচ্ছি।
যাতে করে স্থাণীয় সকল এই বাজার থেতে সহজে তাদের পশুটি ক্রয় করতে পারে পাশাপাশি এই এলাকায় এসেও যেন পশু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে তাদের পশু বিক্রি করতে পারে।
টুকের বাজার তেমুখি পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য ৯টি দরপত্র বিক্রি হলেও মাত্র ২ জন জমা দেন।
খালেদুর রহমান সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং মাসুক মিয়া ৫০ হাজার টাকা। গত বছর এই হাটের ইজারা মূল্য ছিল ২ লাখ টাকা।
মাছিমপুর (কয়েদির মাঠের) সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য ১২টি দরপত্র বিক্রি হলেও ৫ জন তাদের দরপত্র জমা দেন।
ফেরদৌস সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা (ভ্যাট, ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচসহ) এবং মিজানুর রহমান সর্বনিম্ম ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দর জমা দেন।
গত বছর এই হাটের ইজারা মূল্য ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবছর ভ্যাট ট্যাক্সসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলেও প্রায় ৬ গুণের বেশি ইজারা মূল্য লাভ করবে সিসিক।
টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য ২২ টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র ৩টি। মো. তছরিম উদ্দিন এক লাখ ৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা এবং সর্বনিম্ম জাকির আহমদ ৫০ হাজার টাকা দর জমা দেন।
গত বছর হাটটি এক লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর এই হাট থেকে সিসিকের আয় বেড়েছে ৫ হাজার টাকা।
শাহপরান (রহ.) বাজার সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য ৫টি দরপত্র বিক্রি হয়। এতে মাত্র দুজন দরপত্র জমা দেন। গৌছ উদ্দিন সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৮০ হাজার টাকা এবং দুলাল আহমদ ৭০ হাজার টাকা দর জমা দেন।
গত বছর এই হাটটি ৭০ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়েছিল। এই বছর ১০ হাজার টাকা বেশি দর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের অস্থায়ী পশুর হাট আনিকা ট্রেডিংকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে, সিসিকের মাসিক সভার সিদ্ধান্তে ৪লাখ ২ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়।
Leave a comment
এই বিভাগের আরো সংবাদ

সিলেট নগরীর কে কোন হাট ইজারা পেলেন
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত নগরীর অস্থায়ী পশুর হাট ৬টির দরপত্র যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া টি মঙ্গলবার সমপন্নবিস্তারিত

সিলেটে একদিনে ৮২ জনকে পুশইন
সিলেট বিভাগের সীমান্ত এলাকা দিয়ে একদিনে ৮২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। আজ বুধবার (২৮ মে)বিস্তারিত