Main Menu

কোনো কারণে সেনাবাহিনী বিতর্কিত হোক তা চাই না: জামায়াতের আমির

কোনো কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিতর্কিত হোক তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।

আজ শনিবার কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিচলিত না হলেও সতর্ক অবস্থানে পর্যবেক্ষণ করছে জামায়াত। জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতে ঠিক হবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আলোচনার জন্য সরকারকে বলেছে। অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছিল। জাতির মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে সন্তোষজনক জায়গায় যেতে পারব।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনার একটি বিষয় সামনে এসেছে। এটি বিশাল বিষয়। এটি আমাদের লাইফ লাইন। এই বন্দরের ওপরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নির্ভর করছে। এমন বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়ে হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি না। আরও অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধ্য করতে চায় না জামায়াত। তবে সকল দলের সাথে রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।’

সেনাবাহিনীর ইতিহাস তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে সেনাবাহিনীর অনেক মর্যাদাপূর্ণ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমাদের এই বাহিনী গড়ে উঠেছে। কোনো কার্যক্রমে, কারও পদক্ষেপে আমাদের এই গর্বের প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত হোক আমরা তা চাই না। আমরা চাই, এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে, তারা দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। এতেই দেশের গৌরব, সেনাবাহিনীরও গৌরব। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে সেই গৌরবের জায়গায় রাখতে চাই। এই জায়গা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না এই আশা রাখতে চাই। সেনাবাহিনী নিয়ে যে কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে একটা স্বাধীন দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।’

Leave a comment






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *