1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
৩০ জুলাই সিলেটে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে বদরুজ্জামান সেলিম
       
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

৩০ জুলাই সিলেটে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে বদরুজ্জামান সেলিম

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:

আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, ১৯৭৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া জাগদলের সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করেছি। পরে ছাত্রদলের জেলা সভাপতিসহ বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছি, এখনও করে যাচ্ছি। দীর্ঘ প্রায় ৪ দশক ধরে নিষ্টার সাথে দলের নির্দেশ মেনে এসে কোনদিন ব্যতয় করিনি। এবার না হয় আমি দলের নির্দেশ অমান্য করলাম; কোনভাবেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমার সাথে রয়েছেন। নগরবাসী আমার সাথে রয়েছেন।’
তিনি বলেন- ‘আমি আশাবাদী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করে দলের নেতাকর্মীর প্রত্যাশানুযায়ী আমাকে সমর্থন দিবেন। দল যদি সমর্থন নাও দেয় তবুও আমি সিলেটবাসীর খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। নগরবাসী ও দলের তৃণমূল কাকে চায় ৩০ জুলাই সেটির ফায়সালা হবে।’
নগরীর দরগাগেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্সরুমে নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রোববার (৮ জুলাই) দুপুরে এসব কথা বলেন বদরুজ্জামান সেলিম।
লিখিত বক্তব্যে বদরুজ্জামান সেলিম বলেন- ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়রপদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দল আমাকে মনোনয়ন দেবার সম্ভাবনা ছিল এবং দলীয় হাইকমান্ডের নির্বাচনী সাক্ষাতকারে দলের ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী না করার ব্যাপারে জোরালো দাবি জানান। তারা তখন আমাকে সমর্থন জানান। ৯ মাস পূর্বেও দলের সভাপতি ও ২৭টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দের সম্মতিতে আরিফুল হক চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী না করার ব্যাপারে স্মারকলিপি দেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য ও দলের মহাসচিবের কাছে। তারপরও আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হল। এটি অন্যায় করা হয়েছে।’
২০ দলীয় জোট ও বিএনপির কর্মীসভা নিয়ে সেলিম বলেন- ‘২০ দলীয় জোটও আরিফুল হক চৌধুরীকে মেনে নেয়নি। অন্যান্য শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। জামায়াতে ইসলামী আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। আরিফুল হক চৌধুরীর সমর্থনে সভার আয়োজন করলে সেটিতে মাত্র ৪৭ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। অথচ ২৭টি ওয়ার্ড ও মহানগর কমিটি মিলে অন্তত ৫০০ নেতা শুধু কমিটিতেই আছেন। এতে প্রমাণ হয় মহানগর কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা আমার সমর্থনে কাজ করছেন। তাদের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। দলের অন্যতম নেতা সামসুজ্জামানও সম্প্রতি আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রত্যাখান করেছেন।
সেলিম আরোও বলেন- ‘আরিফুল হক চৌধুরী নিজের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি সরকারী কলেজে পড়ালেখা করেছেন।’ ‘তবে কেন তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে স্বশিক্ষিত দাবি করলেন?’ এমন প্রশ্ন করে তথ্য গোপনের কারণে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি করেন সেলিম।
বিগত দিনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্বপালন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী স্ত্রীদের সম্পদের ব্যাপারে বদরুজ্জামান সেলিম বলেন- অতীতের দুই মেয়রের স্ত্রীরা এতো সম্পদের মালিক বনে গেলেন কোন জাদুর মন্ত্রে নগরবাসীর উচিত এটি চিন্তা করা। সাবেক দুই মেয়র ও তাদের গিন্নীরা সম্পদের হিসাব হলফনামায় তুলে ধরে নগরবাসীকে পরিহাস করছেন বলেন দাবি করে সেলিম বলেন- তবে কি মেয়র পদটি টাকা কামানোর মেশিন?
তিনি জানান, তার প্রথম কর্মজীবনে তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। দি এইডেড হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে আমি কর্মজীবন শুরু করি। আমি বিএ, এলএবি পাস করেছি। শিক্ষার দিকেও আমি পিছিয়ে নই। সেলিম বলেন- আমি যদি মেয়র পদে নির্বাচিত হই তবে, দীর্ঘ ৩৯ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে এ সিলেট নগরীকে আধ্যাত্মিক তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এসব নিয়ে বিস্তারিত আমি নির্বাচনের ইশতেহারে তুলে ধরবো।
অন্যদিকে নাগরিক কমিটির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হলেও বদরুজ্জামান সেলিম লিখিত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন- ২০১৬ সালে তৃণমূলের ভোটে আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। আমি এখনও দলের কর্মী। আমার বুকে দলের ব্যাজ পড়া রয়েছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

 

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.