Main Menu

ভারতের নিউ দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে ৪ শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া অতিরিক্ত ভিড়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও চারজন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলএনজেপি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ নারী, তিন শিশু ও দুই পুরুষ এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া লেডি হার্ডিং হাসপাতালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে বিভাগ ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি ও সামান্য আহতদের এক লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রয়াগরাজগামী দুটি ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং চারটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ ভিড় সামলাতে বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে।

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক পদদলনের ঘটনা নয়, বরং অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ওঠার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। কিছু যাত্রীকে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে, অন্যরা তাদের সজাগ করার চেষ্টা করছিলেন।

এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলেছেন, নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলনের ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।”

প্রতি ১২ বছর পর একবার অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভের কারণে এ বছর বিশেষ ট্রেনগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এ উৎসব শেষ হবে। এর আগে, ট্রেনে উঠতে না পেরে বিহারের মধুবনী রেলওয়ে স্টেশনে স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেসের জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।এই বিশৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আতিশি ।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.