Main Menu

ভ্যাটের কারণে বাড়লো এলপিজির দাম

ভ্যাট সমন্বয় করায় প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৩৭ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জানুয়ারির মাসের শুরুতে এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিইআরসি। কিন্তু সম্প্রতি মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের কারণে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেসরকারি কোম্পানির এলপিজির দাম প্রতি কেজি ১২১ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা করা হয়েছে।

এতে করে বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে কমিশন। অর্থাৎ সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ৪ টাকা। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি এই তথ্য জানায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল।

গত ২ জানুয়ারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দেয় কমিশন। তবে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম ৩ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার তা এক টাকা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও আদেশ অনুযায়ী, লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের ফলে জানুয়ারি মাসের জন্য সরকারি, বেসরকারি এলপিজি’র মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

শুধু ১২ কেজি নয়, ৫ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজি সিলিণ্ডারের দাম বাড়ানো হয়েছে।

একইসঙ্গে ভ্যাটের কারণে সরকারি এলপিজির দামও প্রতি কেজি ১২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে অটোগ্যাসের দামও।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে।

এনবিআর ভ্যাট কমানোর পরেও যে কারণে এলপিজির দাম বাড়লো

সোমবার ( ১৩ জানুয়ারি) এলপি গ্যাস উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করার বিশেষ আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে বলা হয়, এলপি গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার সহজলভ্য করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী উৎপাদন পর্যায়ে এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দিয়েছে।
এই ৭ শতাংশ অব্যাহতির পরেও এলপিজির দাম কেন বাড়ানো হলো জানতে চাইলে বিইআরসি’র চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, ‘এর আগে এলপিজিতে উৎপাদক পর্যায়ে ৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে আরও ২ শতাংশ মোট ৭ শতাংশ ভ্যাট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই বিশেষ সুবিধা তুলে নিয়ে এলপিজির মোট ভ্যাট অন্য পণ্যের মতো ১৫ শতাংশ আরোপ করা হয়। এলপিজি উৎপাদনকারীরা ভ্যাট প্রত্যাহারের আবেদন করলে সরকার আগের মতো ভ্যাট কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এটি শুধু উৎপাদক পর্যায়ে। এজন্যই এলপিজিতে ভ্যাট সমন্বয় করা হয়েছে।’

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.