1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
আরিফ-কামরানের খেলা হবে সিসিক নির্বাচন মাঠে
       
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন

আরিফ-কামরানের খেলা হবে সিসিক নির্বাচন মাঠে

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান নিশ্চিত হয়েছিলেন আগেই। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিলো গত ২২ জুন। তবে অনিশ্চিতায় ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁর দলের ভেতরেই ছিলেন একাধিক প্রার্থী।’

জামায়াতও এই সিটিতে নিজেদের প্রার্থী দিতে চাপ দিচ্ছিলো বিএনপিকে। এই নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছিলো তাদের বিভিন্ন কথা চলেন। আজ কাল করে করে প্রার্থী ঘোষণার তারিখ কেবল পিছিয়ে নিচ্ছিলো বিএনপি। অবশেষে বুধবার মেয়র পদে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি। বর্তমান মেয়র আরিফুল হকেই ভরসা রাখলো বিএনপি।বুধবার বিএনপি আরিফকে প্রার্থী ঘোষণা করায় নিশ্চিত হলো এবারও সিলেট সিটিতে আরেকটি আরিফ-কামরান খেলা হবে নির্বাচনি মাঠে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালের অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে সে নির্বাচনে দুইবারের মেয়র কামরানকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক।

এবার মনোনয়ন নিয়ে দলের ভেতরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েন সাবেক ও বর্তমান এই দুই মেয়র। আওয়ামী লীগ থেকে ৫ নেতা ও বিএনপি থেকে ৬ নেতা দলীয় মনোনয়ন দাবি করেন। প্রার্থীতা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা দেয় বিভক্তি। আগেভাগেই প্রার্থী চুড়ান্ত করে বিভক্তি নিরসনে অনেকটাই সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ।

এই দল থেকে কেবল বদরউদ্দিন আহমদ কামরানই মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।অপরদিকে, প্রার্থী চুড়ান্ত করতে বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতা ও সময়ক্ষেপণের কারণে দলটিতে আরো বিভক্তির তৈরি হয়। আরিফুল হক চৌধুরীর পাশাপাশি মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ম্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিএনপির জোটের শরীক জামায়াত ইসলামীর সিলেট মহানগর শাখার আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়েরও। এখনো নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়াননি জামায়াতের জুবায়ের। বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।গুঞ্জন শোনা যায়, বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরীকে এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান মেয়র পদে বদরুজ্জামান সেলিমকে প্রার্থী করার পক্ষে। এছাড়া জামায়াতও সিলেটে ছাড়া দিতে নারাজ।

এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলতে থাকে দরকষাকষি, আলোচনা। অবশেষে বুধববার সিলেটের বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় ডেকে নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের সাথে আলোচনার পর আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।তবে এই ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।

তিনি বলেন, দলের এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি হতে পারিনি। আশা করেছিলাম দল এবার নতুন প্রার্থী বেছে নেবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কী না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।আর আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, দলের সকল নেতাদের সাথে বৈঠক করে বিভেদ নিরসনের চেষ্টা করবো। এক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে এনে এই সরকারের দুঃশাসনের জবাব দিতে হবে।এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়নি। তবে বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

বিশেষত আগেই দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যাওয়ায় মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মতবিনিয়ম করছেন তিনি। এবার যাতে গত নির্বাচনের পুণরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন কামরান। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদসহ দলের ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীই কামরানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।এবার গত নির্বাচনের পুণরাবৃত্তি হবে না বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।’

তিনি বলেন, গতবছর দলের কিছু ভুল বুঝাবুঝি ছিলো। এবার আর সে অবস্থা নেই। এবার আর গতবারের মতো হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল সংগঠন। এই দলে মান অভিমান থাকতে পারে। প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। তবে এবার আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। নেত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। কামরান বলেন, আমরা এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করেছি।

আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকা প্রতিকের বিজয় নিশ্চিত করব।ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁর পক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ কাজ করব। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। ফলে এখানে ব্যক্তি মূখ্য নয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। ‘আজকেই শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র জমা দান। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।’

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.