অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান বলেছেন, ‘এখানে (পার্বত্য অঞ্চলে) পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে বিভেদ, বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব তৈরি করে অনেক পক্ষ সুবিধা নিতে চায়। আমরা তাদেরকে সুযোগ করে দেব না। আমরা বলব, পাহাড় ও সমতল সব মিলে বাংলাদেশ। ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করব।’
শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাস স্টেশনের লারমা স্কয়ারে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান। পাহাড়ে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যারা দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত, তাদেরকে আমরা বিচারের আওতায় আনব। আমরা বারবার করে বলছি, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ করে, দোষও করে–সেটার জন্য আপনারা শাস্তি দিতে যাবেন না। সেটার জন্য রাষ্ট্র আছে, পুলিশ আছে। আমরা যদি নিজেরায় আইন নিজের হাতে তুলে ফেলি, তাহলে তো এত প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই। সমাধানের জন্য আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।’
দীঘিনালা তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার এখানে আসার কথা ছিল না। এখানকার পরিস্থিতি জানতে আমি ফেনী থেকে এখানে এসেছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের কোনো একটি অঞ্চল অশান্তিতে থাকলে সেটার প্রভাব পুরো বাংলাদেশে পড়ে। ফলে আমাদেরকে একসাথে থাকতে হবে। আমরা কিন্ত লড়াই-সংগ্রাম করে একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। যেখানে আমরা সম্প্রীতির সাথে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। এবং সকল প্রকারের বৈষম্য দূর করতে পারব।’