Main Menu

এবার সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় রাজনীতি বন্ধের ডাক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন সিলেটসহ সারা দেশে পাল্টে দিচ্ছে অনেক কিছু। হাসিনা সরকার পতনের পর সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)-সহ কয়েকটি ভার্সিটিতে পদত্যাগ করেছেন উপাচার্য-উপউপাচার্য-প্রক্টোররা।

এবার সিলেটের কলেজ-ভার্সিটিতে দলীয় বা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের জোর দাবি তুলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে দলীয় রাজনীতি বন্ধে কঠোর হয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। শাবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমসি কলেজে সাধারণ ছাত্ররা জোর দাবি জানাচ্ছে সকল ধরনের দলীয় বা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের প্রস্তাবিত অন্তবর্তীকালীন সরকারও গঠন হয়েছে। কিন্তু অনেক ভার্সিটি-কলেজে বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থী-আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলকে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

জানা গেছে, সরকার পতনের পর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা দলীয় রাজনীতি বন্ধের জোর দাবি তুলেন। যদিও ১৯৯৪ সালে এ কলেজ ক্যাম্পাসে এমন রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বিগত সরকারগুলোর আমলে রাজিনৈতিক ছাত্র-সংগঠনগুলো- বিশেষ করে ছাত্রলীগ দাপিয়ে বেড়াতো। ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ৫ আগস্ট পতন হয় হাসিনা সরকারের। এরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফের দাবি তুলেন- ক্যাম্পাসে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত বুধবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- আগামীতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে কেউ দলীয় রাজনীতির চর্চা করলে তাকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

অপরদিকে, সিলেটের শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার, অসহযোগ ও সর্বশেষ সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে সিলেটে লিডিংয়ে ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ভার্সিটিতে ৬-৭ জন সমন্বয়ক রয়েছেন। এর মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক।

এগুলো ছাড়াও সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) এবং বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েক বছর ধরে সিলেটে খুন, চুরি, ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি ও নিজেদের মধ্যে মারামারি সহ বড় বড় অপরাধকাণ্ডে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এমসি কলেজের হোস্টেলে ছাত্রলীগ নেতাকমীরা নারীকে করেছে সংঘবব্ধ ধর্ষণ। সর্বশেষ সিলেটে ছাত্রলীগের চিনি চোরাকারবার নিয়ে সারা দেশে হয়েছে তোলপাড়। তাদের কাছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতারাই ছিলেন অসহায়। কেন্দ্রে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও সুরাহা মিলেনি। তাদের মদদ দিচ্ছিলো প্রশাসনের অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। অবশেষে হাসিনা সরকার পতনের পর সিলেট হয়েছে ছাত্রলীগশূন্য।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.