Main Menu

বাংলাদেশে সেবা বন্ধ করছে ইতিহাদ

ডেস্ক নিউজ

: ফ্লাই দুবাইয়ের পর এবার বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরেকটি এয়ারলাইন্স ‘ইতিহাদ এয়ারওয়েজ’।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বেকারত্বের শঙ্কায় পড়েছেন এয়ারলাইন্সটির বাংলাদেশি কর্মীরা। এক যুগ হলো এয়ারলাইন্সটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।  ৬ জুন এয়ারলাইন্সটি তাদের স্থানীয় ব্যবসায়িক পার্টনার ও ট্রাভেল এজেন্টদের চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সমস্ত ফ্লাইং কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।
তবে যারা আগে থেকে ১ অক্টোবরের পরের অগ্রিম ফ্লাইট বুকিং করেছেন তারা প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার জেট এয়ারওয়েজের মাধ্যমে মুম্বাই, দিল্লী ও কলকাতা হয়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন। আর যারা ঢাকা থেকে সরাসরি আবুধাবির ফ্লাইট বুক করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইটে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে।  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে বিদেশি এয়ারলাইন্স কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বাংলাদেশি জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) -এর মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে জিএসএ প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিকের হতে হবে। যদিও ইতিহাদসহ আরও বেশকিছু বিদেশি এয়ারলাইন্স জিএসএ ছাড়াই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। বেবিচকের এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে এই এয়ারলাইন্সগুলো। তবে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানানোর কোনো কারণ দেখেন না জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিদেশি এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে। কোনো কোনো দেশে আগে স্থানীয় জিএসএ নিয়োগ করতে হয় এবং সেই এজেন্টের মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদনের আবেদন করতে হয়।’ তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলোকেও বিদেশে লোকাল এজেন্ট নিয়োগ করতে হয়েছে। ফলে এ নিয়ম নিয়ে আপত্তি জানানোর কিছু নেই।’ এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশে ইতিহাদ এয়াওয়েজের  সেলস ম্যানেজার শামিমুল ইসলাম জয় বলেন, ‘কেন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে- এ বিষয়টি হেড অফিস আমাদের জানায়নি। তবে কারণগুলোর মধ্যে জিএসএ একটি কারণ হতে পারে।’ তবে হঠাৎ করে সেবা বন্ধের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হবে না যাত্রীদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোড শেয়ারের মাধ্যমে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে জেট এয়ারওয়েজ। কোনো চার্জ ছাড়াই কেউ চাইলে টিকিট রিফান্ড করতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, ১৪ জুন চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সর্বশেষ ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে ৭ বছর ধরে সেবা দানকারী ‘ফ্লাই দুবাই’। এর আগে ২৫ মার্চ ঢাকা-দুবাই রুটের ফ্লাইটের পর ঢাকায় তাদের কার্যক্রমের ইতি টানে প্রতিষ্ঠানটি।

 

Leave a comment






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *