করোনার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আবারো মাস্ক পড়াসহ অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সভায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর এই ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনও চিহ্নিত হয়নি। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে।
বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিটি বলেছে, কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটা সহায়ক হবে।
এছাড়া সভায় সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরকে বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে সার্ভিলেন্স জোরদার করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই না, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসা, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া সার্জারি অথবা অন্য কোনও রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কোভিডের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
বার্তা বিভাগ প্রধান