Home » হাতীবান্ধায় বিক্ষোভ ও বিএনপি অফিস ভাংচুর

হাতীবান্ধায় বিক্ষোভ ও বিএনপি অফিস ভাংচুর

লালমনিরহাট :রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কর্তৃক আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে জনসভায় হত্যার হুমকির প্রতিবাদে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগ।
সোমবার বিকেলে উপজেলার দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার মেডিকেল মোড় হইতে মিছিলটি সমাবেশস্থলে যাওয়ার সময় কিছু ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মী বিএনপির অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে তান্ডব চালিয়ে চলে যায় বিক্ষোভকারীরা। পরে অডিটোরিয়াম চত্বরে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগসহ  ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এতে দলীয় নেতৃবৃন্দ অতিসত্বর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার বক্তব্যকারীর শাস্তি চেয়ে বক্তব্য দেন।
অপর দিকে বিএনপি অফিস ভাংচুড়ের অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভা ও মিছিল চলা অবস্থায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেরা বিএনপি অফিসের তালা ভেঙ্গে ভাংচুর ও তান্ডাব চালায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম জানান, অফিস ভাংচুড়ের খবর পেয়ে বিএনপি অফিসে উপস্থিত হয়ে দেখি প্রশাসনের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেরা অফিস ভাংচুর করছে। এ সময় প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, এটি বিএনপির নাটক। এটা তাদের অভ্যন্তরীন কোন্দল। তারা নিজেরাই অফিস ভাংচুর করে আওয়ামীলীগের উপর দোষ চাপাতে চাচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, বিএনপি’র অফিস ভাংচুর হয়েছে কিনা আমি এখানো পর্যন্ত জানি না এবং বিএনপি’র কেউ আমাকে এখানো পর্যন্ত অভিযোগ করেন নাই।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *