Home » বিয়ের দাবি নিয়ে এক শিক্ষার্থী ৪ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির গেটে অবস্থান

বিয়ের দাবি নিয়ে এক শিক্ষার্থী ৪ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির গেটে অবস্থান

রংপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহশিক্ষক তার ছাত্রির সাথে ৬ বছর প্রেমের সম্পর্ক করার পড়েই সম্প্রতি চাকুরি পেয়েই লাপাত্তা। পরিবারের ঠিক করা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের  বাড়িতে ৪দিন ধরে অবস্থান করছে ভুক্তভোগী কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ী ডারার পাড় গ্রামে। চাঞ্চল্যের এঘটনায় সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বড়বাড়ি ডারার পাড় গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম এর ছেলে সাব্বির হোসেন শাকিল কয়েক বছর আগে মরিচ টারির আব্দুল করিম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী পলি আক্তারকে টিউশনি পড়াতেন। এতে তাদের প্রেমের  সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সময়ে মেয়ের পরিবার পলির অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করার প্রস্তুতি কালে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিক শাকিলের বাড়িতে গিয়ে উঠে । এতে শাকিলের পরিবার বিচলিত হয়ে তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেয়। সেই থেকে ৪ দিন ধরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পলি শাকিলের বাড়ির গেটেই বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। এঘটনাকে কেন্দ্র ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন যে’ ছেলের সাথে এই মেয়ের সম্পর্ক তাকে ব্যতিরেখে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।
তবে ছেলের অভিভাবকদের উচিত তাকে হাজির করা।
ভুক্তভোগী পলি আক্তার প্রতিবেদককে বলেন, শাকিল আমাকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত গৃহশিক্ষক হিসাবে
পড়াকালীন সময়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সেই থেকেই অন্তরঙ্গ ভাবে আমাদের মেলামেশা। কয়েক মাস পূর্বে একটি এনজিও তে তার চাকরি হলে সে দিনাজপুরে চলে যায়। এরই মধ্যে আমার পরিবার অনত্র বিয়ে ঠিক করেন । বিষয়টি শাকিলের সাথে শেয়ার করার পর থেকেই সে মোবাইল বন্ধ রাখে। আমি উপায় অন্ত না পেয়ে শাকিলের বাড়িতে এসে তার পরিবারের সাথে বিষয়টি সেয়ার করলেই তারা আমাকে বের করে দেয়। তিনি আরো বলেন  শাকিল আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে পরিবারের রোষানলে পড়ে সে আমার সাথে
প্রতারণা করার অপচেষ্টা করছে। আমি সব কিছু ত্যাগ করে এখানে এসেছি, শাকিলের সাথে বিয়ে না হলে আমার লাশ যাবে।
শাকিলের মা প্রতিবেদককে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার জানা মতে শাকিল কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে কখনোই শুনিনি। এখন আমার ছেলে শাকিল না আসা পর্যন্ত কিছুই বলতে পারবো না।
এদিকে পলির মা স্বপ্না বেগম গণমাধ্যমের কাছে মেয়ের বিচার সঠিক চায়।
এঘটনার খবর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও সেই এলাকার সচেতন মহল  দ্বায় এড়িয়ে চলছে বলে জানাগেছে। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর মমদেল সরকার প্রতিবেদককে বলেন, এঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিকবার উভয় পরিবারসহ পলি আক্তারের সাথে কথা বলেছি এখনো সমঝোতার চেষ্টা চলমান রয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *