Main Menu

সার্কের বছরব্যাপী কর্মসূচিতে বৈঠক নেই সুখবর

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম : ভারত, পাকিস্থান দ্বন্দের বলি হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম আঞ্চলিক জোট সার্ক। ইসলামাবাদে ২০১৬ সালের নভেম্বরে স্থগিত হওয়া ১৯ তম সার্ক সম্মেলনের পর উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো বৈঠক হয়নি। নেই কোনো সুখবরও। প্রায় চার বছর হতে চললো স্থবির অবস্থা। এমনকি স্থগিত হওয়া সার্ক সম্মেলন কবে হবে সেই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কাঠমন্ডুর সার্ক প্রোগামিং কার্যালয়। এমনটাই জানিয়ে ঢাকা ও কাঠমন্ডুর একাধিক কূটনৈতিক সূত্র।’

‘সার্ক সচিবালয় সূত্র বলছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এ নিয়ে বাবরবার আলোচনা তুললেও পাক-ভারত দ্বন্দ সামনে টেনে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে ভারত। পাকিস্থান ইস্যুতে ভারত সার্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে এখন সক্রিয় হচ্ছে ‘বিমস্টেক’ বা ‘বিবিআইএনে’র মতো বিকল্প জোটগুলোর ওপর। ভারত নেপালকে তাদের অবস্থান পরিস্কার করে জানিয়ে দেয় পাকিস্তান যেভাবে সীমান্ত-পারের সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে তাতে তারা একেবারেই নিরুপায়।’

‘এ দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে সদস্য দেশগুলোর মতবিরোধের কারণে আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সার্কের অস্তিত্ব হুমকিতে রয়েছে।’

এমনকি নিকটতম সময়ে সার্কের বছরব্যাপী কর্মসূচিতে বড় কোনো সম্মেলন বা বৈঠক নেই। তিনি বলছেন, সার্ক এবং সার্কের আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অর্জন রয়েছে। চাইলেও সার্ককে গুটিয়ে নেওয়া যাবেনা। কারণ সেটি খুবই কঠিন প্রক্রিয়া। তাই সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বার্থেই সার্ককে টিকিয়ে রাখবে। এখন যেভাবে চলছে সেটা হয়ত খুব বেশি সময় ধরে থাকবেনা।’

‘সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বাতিল, দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে সদস্য দেশগুলোর মতবিরোধ এবং অর্থ সংকটের কারণে আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সার্কেরই অস্তিত্ব থাকবে কিনা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে কূটনীতিকরা বলছেন, কাশ্মীর এবং যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ইসলামাবাদে সার্কের ১৯তম স্থগিত হওয়ায় কাঠামগত ভাবে সার্ক আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এবং পাল্টা কূটনীতিক প্রত্যাহারের ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির টানেপরেন সম্পর্ক। ফলে সেই সময়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ। একইভাবে বর্জনের ঘোষণা দেয় ভারত, ভুটান এবং আফগানিস্তান।’

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন বলেছেন,’ সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাংলাদেশ নিয়েছিলো এবং সার্কের জন্য বাংলাদেশের ভূমিকা বেশ জোরালোই ছিলো। বর্তমানে সার্কের কার্যক্রম কিছুটা স্থিমিত হয়ে আছে। তার মানে এই নয় যে, সার্কের কার্যক্রম আগামীতে অনিশচয়ত পড়তে যাচ্ছে। “সার্ক আছে, থাকবে”। আমি মনেকরি রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই সার্কের ১৯ তম কার্যক্রম স্থগিত হয়ে ছিলো।’

সার্কের এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকেই এগিয়ে আসতে হবে। সার্কের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে এখনি প্রশ্ন তোলা যাবেনা। প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠক হওয়া না হওয়া সময় বলে দেবে।”

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.