Main Menu

স্বাধীনতাবিরোধীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সিলেট মহানগর শাখার সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর মেন্দিবাগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। সম্মেলন শেষে এডভোকেট কিশোর কুমার করকে সভাপতি ও এডভোকেট মো. জাহিদ সরওয়ার সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট মহানগর শাখার ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনের জন্যই ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে রাজাকার-আলবদর হাত মিলিয়ে এদেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও লুটপাট চালায়। তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী এদেশকে একটি উগ্রবাদী দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল। সকল শ্রেণির মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। তাই যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।

দুপুরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এ দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আন্দোলন করেছেন। সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশকে একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস রেখেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এডভোকেট কিশোর কুমার করের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট জাহিদ সরওয়ার সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য সিকন্দর আলী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, কানাডা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহহিয়া আহমদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মনোজ কপালি মিন্টু, আবুল হোসেন, অধ্যাপক জান্নাত আরা খান পান্না প্রমুখ।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন- আব্দুল কাদির, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন সালাই, ছয়েফ খান, শেখ সুহেল আহমদ কবির, মো. জালাল উদ্দিন শাবুল, সৈয়দ মোজাফ্ফর হোসেন, দবির আলী, ধ্রুব গৌতম, এডভোকেট মোস্তফা দেলওয়ার আল আজহার, এডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন, এমএইচ বিশ্বাস পারভেজ, আব্দুল মুকিত, এডভোকেট তাবানুম চৌধুরী, এডভোকেট দিদার আহমদ, বিপ্রদাস বিশু বিক্রম।

সম্মেলন শেষে এডভোকেট কিশোর কুমার করকে সভাপতি ও এডভোকেট মো. জাহিদ সরওয়ার সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট মহানগর শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য দায়িত্বশীলরা হলেন- সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কাদির, এডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট আলী মোস্তফা মিশকাতুন নুর, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, সৈয়দ মোজাফ্ফর হোসেন রুহেল, সাদিকুর রহমান সাদিক, দবির আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- ধ্রুবজ্যোতি দাস (ধ্রুব গৌতম), এডভোকেট মোস্তফা দেলওয়ার আল আজহার, মো. ছয়েফ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক- শেখ সুহেল আহমদ কবির, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী কয়েস ও এডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দিলীপ কুমার দেব, কোষাধ্যক্ষ মো. মানিক মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফয়সল কাদির পাওয়েল, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহান আহমদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কালাম আহমদ, শ্রম সম্পাদক মো. তজম্মুল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এম. আব্দুল মুকিত, দপ্তর সম্পাদক দেবাশীষ দেবু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভান, সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বাবলা গুপ্ত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সিপা বেগম সুপা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বিপ্ন দাস বিশু বিক্রম, শিক্ষা ও মানবসম্পদক সম্পাদক মোয়ামিন চৌধুরী বাপ্পি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুমন রায় চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জুয়েল, সহ-দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট দিদার আহমদ, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাসুদ রানা মাহি, সহ-সামাজিক যোগাযোগ সম্পাদক আফতাবুল কামাল রেকি, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তাবানুম চৌধুরী, সহ-শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ আহমদ রিফাদ, সহ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. ওবায়ুদর রহমান সারওয়ার। এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- খন্দকার মহসিন কামরান, মো. জালাল উদ্দিন শাবুল, সেলিম আহমদ সেমিম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট পংকজ দাস, মো. নজরুল ইসলাম নজু, দীনবন্ধু পাল, সৈয়দ দারা মিয়া, এম রশিদ আহমদ, এডভোকেট মো. আব্দুল বাসিত, রাজ্জাকুজ্জামান চৌধুরী, ইঞ্জি. রেজুয়ান আহমদ রাজু, মোহন আহমদ, মো. নুরুজ্জামান জুয়েল, রাজিব হোসেন বাহাদুর, বিশাল দাস, পিয়াংসোম।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.