Home » খাবারের অর্ডার দিতে দেরি: প্রাণ গেল রেস্তোরাঁর মালিকে

খাবারের অর্ডার দিতে দেরি: প্রাণ গেল রেস্তোরাঁর মালিকে

খাবারের অর্ডার দিতে দেরি। আর সেই ‘অপরাধেই’ প্রাণ গেল রেস্তোরাঁর মালিকের। একটি খাবার ডেলিভারি সংস্থার এক ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে উঠল গুলি করে এই হত্যা করার অভিযোগ। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল ভারতের উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা এলাকা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুনীল গ্রেটার নয়ডায় একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেখানে আসেন ওই ডেলিভারি বয়। তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, খাবার তৈরি হতে সামান্য সময় লাগবে। তিনি যেন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই মেজাজ হারান অভিযুক্ত। রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই সুনীল সেখানে হাজির হয়ে ওই ডেলিভারি বয়ের কাছে জানতে চান বিবাদের কারণ। ঠিক তখনই অতর্কিতে বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত। মুহূর্তে সেখানে লুটিয়ে পড়েন সুনীল। বেগতিক বুঝে দ্রুত চম্পট দেন ওই ডেলিভারি বয়। সুনীলকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এখন পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাকে রেস্তোরাঁর এক কর্মী ফোন করে সুনীলের আহত হওয়ার খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন সুনীল তখনও বেঁচে রয়েছেন। অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি করায় তিনি নিজের গাড়িতেই সুনীলকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

সবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালানোর। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরপর তল্লাশি অভিযান চলাকালীন, পুলিশ গ্রেটার নয়ডার বেটা -২ এলাকার দিকে একটি বাইকে তিনজনকে লক্ষ্য করে। তাদের থামতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা গতি বাড়িয়ে বাইকটিকে ইউনিভার্সিটি রোডের দিকে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বৃহত্তর নয়ডা) বিশাল পান্ডে বলেন, ‘যখন আমরা তাদের ধাওয়া দিয়েছিলাম, তখন তারা পুলিশের টিমের ওপর গুলি চালায়। গুলি বিনিময়ে তাদের মধ্যে একজন আহত হয়, যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’তাদের মধ্যে দুজন স্বীকার করেছে যে তারা সুনীল নামে চিহ্নিত রেস্টুরেন্ট মালিকের হত্যায় জড়িত ছিলেন।

‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা পুলিশকে জানায় যে মঙ্গলবার তারা রেস্তোরাঁর কর্মীদের সাথে উত্তপ্ত তর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে সুনীল তার কর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাদের একজন তার বন্দুক বের করে এবং সুনীলকে গুলি করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়,’ যোগ করেন পান্ডে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি নিউজ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *