Main Menu

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে পাহাড় ধসে একই পরিবারের শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত (২৭ জুলাই) রাত দুইটার দিকে ইউনিয়নের পানখালী ভিলেজারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-হ্নীলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি গ্রাম ভিলেজার পাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে শুক্কুর, জুবাইর, আবদুর রহিম, মেয়ে কহিনুর ও জাইনবা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হোছেন আহমেদ জানান, সৈয়দ আলমের বাড়ি পাহাড়ের পাদদেশে। পাশে উঁচু পাহাড়। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। এতে নরম হয়ে রয়েছে পাহাড়ের মাটি।

মঙ্গলবার রাতের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে গিয়ে আলমের বাড়ির ওপর পড়ে। এতে চালাসহ চাপা পড়ে বাড়ির ঘুমন্ত সদস্যরা। মাটির নিচে চাপা পড়ে আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি চাপায় একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বাকী সদস্যরাও। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

পাহাড়ের কিনারায় ও ওপরে ঝুঁকিতে বাস করা পরিবারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া না গেলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা তার।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে হ্নীলা ইউনিয়নে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পৌছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, সোমবার দুপুর ১২টা হতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৩৩ মিলিমিটার। সাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। আরও দুই থেকে তিনদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘটতে পারে পাহাড় ও ভূমি ধসের ঘটনাও।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, শ্রাবণের অতিবর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণে ঢল নেমেছে জেলার তিন প্রধান নদী ঈদগাঁওর ফুলেশ্বরী, চকরিয়ার মাতামুহুরি ও রামুর বাঁকখালীতে।

বান ও বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হয়েছে জেলার নয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও সমতল। শত শত বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় অনেক পরিবারে রান্নাও বন্ধ রয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং ও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে দু’পরিবারের নারী-শিশুসহ ৫জন এবং হোয়াইক্যং ও মহেশখালীতে স্থানীয় আরও দু’জন নিহত হয়েছেন। এর ১৫ ঘণ্টার মাথায় হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি চাপায় একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৫ জনের মৃত্যু হলো।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.