Main Menu

দক্ষিণ আফ্রিকা দাঙ্গা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার বহু বাংলাদেশি

সাবেক প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা গ্রেফতার হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশে গত কয়েকদিনে হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশি সোহাগ রানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।

শুধু সোহাগ রানা নয়, স্থানীয় বাংলাদেশিরা বলছেন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হয়ে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে দুইশোরও বেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের, যার মধ্যে সোহাগ রানার মত অনেকের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার প্রায় শতভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান সোহাগ রানা। গত সাত বছর ধরে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের পিটারমেরিৎজবার্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি।

“একটা কমপ্লেক্সের মত জায়গায় বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে ফার্নিচারের দোকান, পেট্রোল পাম্প, সুপারশপ ছিল আমার। সোমবার রাত থেকে লুটপাট শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে প্রায় সবকিছুই নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা,” বিবিসি বাংলাকে জানান মি. রানা।

লুটপাট চালানো হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে মি. রানার বাসায়ও। ঐ ঘটনার পর সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে পরিচিত একজন বাংলাদেশির বাসায় উঠেছেন তিনি।
কোয়াজুলু-নাটাল ও গাওটেং প্রদেশের অন্তর্গত অধিকাংশ দোকান ও গুদামেই গত কয়েকদিনে চলেছে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। সেসব এলাকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানপাট সহ অন্যান্য দোকানও পড়েছে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে।

দোকানের সাথে সাথে অনেকের বাড়িতেও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অনেকেই সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছেন পরিচিত কারো না কারো বাসায়।
গত কয়েকদিনের সহিংসতায় কোয়াজুলু-নাটালের পিটারমেরিৎজবার্গ, ডারবান ও গাওটেং প্রদেশের জোহানেসবার্গ, জারমিস্টোন শহরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অনেকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানান জোহানেসবার্গের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোশাররফ – যিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের সংগঠনের সাথে জড়িত।

মোহাম্মদ মোশাররফ বলেন, “এখানে বসবাসরত প্রায় ৯০ ভাগ বাংলাদেশি সুপারশপ জাতীয় দোকান পরিচালনা করেন। গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে চারশো’র বেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু দোকান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

মি. মোশারররফ বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে অন্তত ১০টি দোকানের প্রতিটিতে থাকা মালামালের মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন র‍্যান্ড, টাকার অঙ্কে যা দেড় থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি।

“এছাড়া অন্তত দুইশো’র বেশি দোকানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে যেসব দোকানের প্রত্যেকটিতে থাকা মালামালের মূল্য ছিল তিন থেকে দশ লক্ষ র‍্যান্ড – বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার সমমানের।”

মি. মোশাররফের অনুমান, চলমান এই বিক্ষোভে হওয়া লুটপাটে কয়েক হাজারের বেশি বাংলাদেশি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পিটারমেরিৎজবার্গ শহরের বাসিন্দা সায়মন হক কাজল, যিনি স্থানীয় বাংলাদেশি সংগঠনের একজন নেতা, জানান তাদের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের অস্থায়ী আবাসস্থলের ব্যবস্থা করেছেন তারা।

পাশাপাশি আবারো যেন বিক্ষোভকারীরা হামলা চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের সাথে মিলে পাহারা দিচ্ছেন তারা।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.