Main Menu

মাস্ক নেই তবু মিলছে সেবা

সর্বশেষ কঠোর লকডাউন তুলে দেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে চালু হলো— ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ক্যাম্পেইন। প্রতিটি শপিং মল, দোকান, ব্যাংক ও অফিসের নোটিশ বোর্ডে ও দর্শনীয় স্থানে এ কথা লিখে টানিয়ে রাখতে হবে। একইসঙ্গে সেটি পালন করতে হবে। কেউ মাস্ক না পরে আসলে, তাকে কোনও সেবা দেওয়া হবে না। দোকান মালিক সমিতিও ঘোষণা দিয়েছিল— মাস্ক ছাড়া দোকানে ক্রেতা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে বাস্তবে এর কোনও প্রয়োগ নেই। দোকানের বাইরে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ লেখা থাকলেও সেটি এখন নিছক একটি পোস্টার মাত্র।

মাসুদ রায়হান পেশায় একজন গাড়িচালক। হঠাৎ ওষুধ কিনতে গ্রিন রোডের একটি ফার্মেসিতে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখেন কাউন্টারের সামনে বেশ কয়েকজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ওষুধ কিনছেন। তাদের কারও মুখে মাস্ক নেই। এ বিষয়ে বিক্রেতাদেরও কোনও নজর দেওয়ার মতো আগ্রহ দেখতে পাননি তিনি। আক্ষেপের সঙ্গে মাসুদ রায়হান বলেন, ‘শুধু আমি মাস্ক পড়লে কি হবে? করোনার ভয় কি শুধু আমারই, তাদের কি হবে না?’

সায়মা আক্তার এসেছেন মুদি দোকানে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। তার মুখে মাস্ক নেই, এমনকি বিক্রেতার মুখেও নেই। অথচ দোকানের বাইরে লেখা ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’। কিন্তু সেদিকে কারও নেই নজর। মাস্ক পরেননি কেন, জানতে চাইলে সেই দোকানদার বলেন, ‘এই এলাকায় করোনা তেমন নাই, তাই অসুবিধা নাই।’

রাস্তায় পথ চলতে অনেকেই ব্যবহার করছেন মাস্ক। কিন্তু অনেকেই আবার হতাশ হচ্ছেন— তার ঠিক পাশের জনের মাস্ক পরার প্রতি অনীহা দেখে। আবার দোকানে গিয়ে কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েও মাস্ক পরা, কিংবা সাস্থ্যবিধি মানার প্রতি অনীহা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত দোকানগুলোর প্রায় সবগুলোতেই বাইরে লেখা আছে– ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’, ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’, ‘মাস্ক সঙ্গে রাখুন’, ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করবেন না’-সহ নানান ধরনের নির্দেশনা। সবগুলোর মূলবার্তা একটাই— মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। কিন্তু ‘মাস্ক ছাড়া সেবা পাওয়া যাবে না’, এমন লেখা দেখতে পাওয়া ছিল বিরল। আবার যেখানে লেখা আছে, সেখানকার চিত্রও ব্যতিক্রম।

মাস্ক ছাড়া ক্রেতারা আসলে তাদের কিছু বলছেন না কেন, জানতে চাইলে দোকানদার মাসুম বলেন, ‘এলাকার মানুষ তো কীভাবে বলি। আর কাস্টমার নিজে সচেতন না হলে কী করমু আমরা।’

রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগ অন্যতম। চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখানে ৭ দিন ধরে চলা লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যত দ্রুত সম্ভব লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে দেশে। জনসাধারণকে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বরাবরই বলে আসছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাদের ভাষ্য, যে ভ্যারিয়েন্টই আসুক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং মাস্ক পরলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.