Home » বিশ্বনাথ কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থি কোন কাজ সহ্য করা হবে না : পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান

বিশ্বনাথ কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থি কোন কাজ সহ্য করা হবে না : পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোটারঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার অনেক ভর্তুকি দিচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর পারের কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থি যে কাজ করা হচ্ছে, তা কোনমতই সহ্য করা যাবে না। তিনি চাউলধনী হাওরের দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় ও কৃষকদের হয়রানির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে চাউলধনী হাওরের নিরীহ কৃষকদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুবর রহমানের নেতৃত্বে চাউলধনী হাওর পারের একদল কৃষক সুনামগঞ্জস্থ মন্ত্রীর বাসভবনে সাক্ষাত করেন। মন্ত্রী মুহিবুবর রহমানের কাছ থেকে চাউলধনী হাওরের সৃষ্ট ঘটনার বিস্থারিত তথ্য জেনে কৃষকদের পাশে দাড়ানোর জন্য মুহিবুর রহমানকে ধন্যবাদ জানান। এসময় মুহিবুর রহমান বলেন, আমি খুবই নিরুপায়, বিদেশ থেকে এসে বাড়িতে অবস্থান করছি। কিন্তু প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আমার কাছে গিয়ে তাদের নিজের জমি দখল, অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় হয়রানিতে কান্নাকাঠি শুরু করেন। আমি কৃষকদের কান্না সইতে পারিনা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের পাশে আছেন, খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও(মন্ত্রী) চাউলধনী হাওযরের কৃষকদের সাথে রয়েছি। কৃষক হয়রানি বা কোন অন্যায় সহ্য করা হবে না। মন্ত্রী চাউলধনী হাওর নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। এসময় মুহিবুর রহমান মন্ত্রী বরাবরে চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি স্বারকলিপি পেশ করেন। স্বারকলিপিতে কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যাকারীদের গ্রেফতার, হত্যাকারীদের আশ্রয় পশ্রয় দাতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা, দশঘর মৎসজীবী সমিতির রেজিস্টেশন ও ইজারা বাতিল, বিশ্বনাথ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কৃষনা রানী পাল, মৎস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও সাইফুল বাহীনিকে সহয়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য ও হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহবায়ন মো: আব্দুল কালাম। এসময় কৃষকদের সাথে ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট এএইচএম ফিরোজ আলী, আবুল কালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লা সিতাব, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইলিয়াস আহমদ আয়না, সাংবাদিক আব্দুস সালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন, ধন মিয়া, মাষ্টার বাবুল আহমদ,নজির আহমদ, শফিক আহমদ পিয়ার, আহমদ আলী, ইব্রাহিম আলী সিজিল, আফজল হোসেন, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
মন্ত্রী যেকোনো সমস্যায় তার সাথে যোগাযোগ ও ঢাকায় গিয়ে হাওরের স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে তার পক্ষে সর্বাত্তক প্রচেষ্টার কথা জানান। তিনি লিখিত স্বারকলিপিটি সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *